শ্রীমঙ্গলে ফারুকের ছাদ বাগানের থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙ্গুর


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
ইউটিউব দেখে টবে আঙ্গুর ফল চাষ করে সফল হয়েছেন মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের উপজেলার সিন্দুখাঁন ইউনিয়নের লাহারপুর গ্রামের সৈয়দুর রহমান ফারুক।
এখন তার ছাদ বাগানে থোকায় ঝুলছে আঙ্গুর ফল। ফারুকের সখের আঙ্গুর বাগান দেখতে প্রতিদিন স্থানীয়রা আসেন আঙ্গুর বাগানে।
আঙ্গুর চাষি সৈয়দুর রহমান ফারুক জানান, ইউটিউবে আঙ্গুরের চাষ দেখে প্রথমে মনস্থির করেন তিনি আঙ্গুর চাষ করবেন। পরে তিনি যশোর থেকে আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করে ছোট পরিসরে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন।
প্রথমবার গাছে আঙ্গুরের ফলন হওয়ায়। তিনি বানিজ্যিক ভাবে আঙ্গুর চাষের চিন্তা করেন। পরে তিনি ভারতীয় চয়ন জাতের ৪০টি চারা সংগ্রহ করে স্থানীয় মসজিদের ছাদে রূপণ করেন। চারাগুলো বিভিন্ন ড্রামে এবং টবে লাগান তিনি। মসজিদের টবে লাগানো ১৫টি আঙ্গুর গাছে ভালো ফলন হয়েছে। গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙ্গুর। নিজ গ্রামে বিদেশী ফল আঙ্গুর চাষ করে সফল হতে পেরে চষি ফারুকও আনন্দিত। ফলে ভরপুর আঙ্গুর ফলের বাগান দেখে স্থানীয়রাও খুশি। অনেকেই ফারুকের কাছ থেকে আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করে লাগিয়েছেন। যারা লাগিয়েছেন তাদের গাছেও ফলন হয়েছে বলে জানান আঙ্গুর চাষি ফারুক।
তিনি জানান, এক বছর আগে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৪০টি গাছ লাগিয়ে ছিলেন। গাছগুলোতে ফল এসেছে। প্রতিটি গাছেই ঝুলছে থোকায় থোকায় আঙ্গুর। এরই মধ্য মসজিদের ছাদে লাগানো বাগান থেকে ৬০০/৭০০ টাকা কেজি দরে কিছু আঙ্গুর বিক্রি করেছেন। স্থানীয়দেরও খাইয়েছেন তার বাগানের ফল।
বর্তমানে গাছে আছে প্রায় ৫০ কেজি মতো ফল।
গাছগুলোতে নিয়মিত পরিচর্চা করছেন। স্থানীয় কৃষি অফিসারের পরামর্শে পোকা-মাকড় এবং রোগবালাই প্রতিরোধে নিয়মিত ঔষুধ প্রয়োগ করছেন।
বর্তমানে গাছগুলো যে অবস্থায় আছে আরো ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন।
ইতোমধ্যে তিনি তার বাগান থেকে ৩০০ টাকা দরে প্রায় ১৫ হাজার টাকার কাটিং চারা বিক্রি করেছেন। আরো ৬ থেকে ৭০০ কাটিং চারা আছে তার সংগ্রহে। সোগুলো বিক্রি করতে পারলে তিনি লাভবান হবেন।