শনিবার, ৩১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

মৃত শ্রীদেবীর মুখে দেওয়া হয়েছিল এক টুকরো সোনা, কেন জানেন?

মৃত শ্রীদেবীর মুখে দেওয়া হয়েছিল এক টুকরো সোনা, কেন জানেন?

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীর মৃত্যু আজও অনেকের কাছেই রহস্য। ২০১৮ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলের স্নানঘরে শ্রীদেবীর নিথর দেহ পাওয়া গিয়েছিল। বাথটবে ভেসে উঠেছিল তার নিথর দেহ।

বনি কাপুরের ভাই দাবি করেছিলেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বলিউডের প্রথম নারী সুপারস্টারের। তবে পরে মৃত্যুর কারণ যায় বদলে। যদিও বছর পাঁচেক পর সবটাই স্পষ্ট হয়ে যায়। শ্রীদেবীর মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে ঘোষণা করা হয়।

তবে অভিনেত্রীর মৃত্যুর দিন গোটা ভারতে অনুরাগীদের চেহারা বদলে গিয়েছিল। মুহূর্তে শোক নেমে এসেছিল গোটা দেশে। তার শেষ যাত্রা যেন আজও সকলের চোখে জল এনে দেয়। সেই বেনারসি, লাল টিপ, মুখে হাসি। আর সেই ঠোঁটের ফাঁকেই ছিল এক টুকরো সোনা।

জানেন, শ্রীদেবীর ঠোঁটে কেন দেওয়া হয়েছিল এই সোনা? তিনি দক্ষিণ ভারতের মেয়ে। সেখানে প্রচলিত রয়েছে সধবা নারীদের মৃত্যুর পর তাদের মুখে সোনা দেওয়া হয়। সেই রীতি মেনেই এই কাজ করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, হিন্দুরীতি অনুসারে, শবদেহের পঞ্চদ্বারে শ্রেষ্ঠ ধাতু হিসেবে সোনা দেওয়ার প্রচলন রয়েছে।

সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, বনি কাপুরই বা ঘরে ঢুকে কী দেখেছিলেন, তা নিয়ে আজও মানুষের মনে প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। বনি চেয়েছিলেন স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিতে। সেই মতোই মুম্বাই ফিরে এলেও আবার দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। ইচ্ছে ছিল স্ত্রীকে নিয়ে খেতে বের হবেন।

দুবাইয়ের সময় অনুযায়ী বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় শ্রীদেবীর হোটেলের ঘরে হাজির হন বনি। সেখানে ১৫ মিনিট কথা হয় তাদের। ডিনারের প্ল্যান জানান পর বেশ খুশিই ছিলেন শ্রীদেবী।

বনি জানান, এরপর নাকি স্নানঘরে তৈরি হতে চলে যান শ্রীদেবী। বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর স্নানঘরের দরজায় ধাক্কা দেন তিনি। ডাকাডাকিও করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ আসে না।

দুবাইয়ের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম মারফৎ খবর, এরপরেই নাকি দরজা ভেঙে ঢোকেন বনি। গিয়ে যা দেখেন তা স্তব্ধ করে দেয় গোটা ভারতকে। বাথটবে ভাসছে শ্রীদেবীর নিথর দেহ। তিনি সাড়া দিচ্ছে না।

বনি ফোন করেন তার এক বন্ধুকে। কিন্তু তিনি এসেও লাভ হয়নি। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ খবর দেয় চিকিৎসককে। চিকিৎসক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

আজও অনেকেই যেন বিশ্বাস করে উঠতে পারেন না, শ্রীদেবী আর নেই বা কিভাবেই তার এমন মৃত্যু হলো!

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন