শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

মহাসড়ক ঘেঁষে মাটির স্তুপ, পানি জমে সড়ক নষ্টের পাশাপাশি যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে

মহাসড়ক ঘেঁষে মাটির স্তুপ, পানি জমে সড়ক নষ্টের পাশাপাশি যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে

এএফএম মমতাজুর রহমান
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার-নওগাঁ বাইপাস মহাসড়কের বশিপুর হবির মোর নামক স্থানে ইট ভাটার জন্য মাটির বিশাল পাহাড় গড়ে তুলে রেখেছেন বাবলু ইট ভাটার স্বত্বাধিকারি আলহাজ¦ আখতারুজ্জামান বাবলু। মহাসড়কের পাশে সওজের জায়গায় এভাবে মাটি রাখায় অল্প বৃষ্টি হলেই মাটি গড়িয়ে সড়কে পানি জমে পিচ্ছিল হয়ে পড়ে রাস্তা। এ অবস্থায় মারাতœক ঝুকি নিয়ে চলাচল করে বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারীরা। দীর্ঘদিন ধরে ওইভাবে মাটির স্তুপ করে রাখার পরও ভাটা মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় মুখখুলে ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনা। এলাকাবাসি বলছেন, ওই মহাসড়ক দিয়ে দিনরাত ২৪ঘন্টা অনেক ভারী ভারী যানবাহন চলাচল করে থাকে। যে কোন সময় ঘটতে পাড়ে মারাতœক দূর্ঘটনা। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে তারা বলেন, দূর্ঘটনা এড়াতে অতিদ্রুত মাটি অনত্র স্থানান্তর করা প্রয়োজন। এ ব্যবপারে তারা প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান। ভাটা মালিক আখতারুজ্জআমান বাবলুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে, এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে রাস্তার পাশ থেকে কিছু মাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মাটি সরিয়ে নেওয়া হবে এবং সড়কের ধার দিয়ে ড্রেন নির্মান করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। একই অবস্থা উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামপুরা ও রক্তদহ বিল হয়ে সাইলো সড়ক পর্যন্ত। জোড়পুকুর কাশিমালা গ্রামের সীমানায় পাকা সড়ক ঘেঁষে পুকুর খননের মাটি স্তপ করে ফেলে রাখায় হয়েছে। পানি জমে সড়ক নষ্টের পাশাপাশি যানবাহন ও সাধারণ মানুষের পথ চলাচলে মারাত্মক বিঘিœত হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।
সরজমিনে জানা যায়, সান্তাহার-নওগাঁ বাইপাস মহাসড়কের পাশের্^ বশিপুর হবির মোড় নামক স্থানে পাকা মহাসড়ক ঘেষে সহজের জায়গায় ইট ভাটার জন্য মাটির বিশাল পাহাড় গড়ে তুলে রেখেছেন বাবলু ইট ভাটার সত্বাধিকারি আলহাজ¦ আখতারুজ্জামান বাবলু। এ ছাড়া সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামপুরা ও রক্তদহ বিল হয়ে সাইলো সড়ক পর্যন্ত পাকা সড়ক ঘেঁষে পুকুর খননের মাটি স্তপ করে ফেলে রাখায় হয়েছে। পানি জমে সড়ক নষ্টের পাশাপাশি যানবাহন ও সাধারণ মানুষের পথ চলাচলে মারাত্মক বিঘিœত হচ্ছে। আদমদীঘি রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামপুরা ও রক্তদহ বিল হয়ে সাইলো সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক পাকা কাপেটিং সড়ক রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, সিএনজি চালিত অটো রিকশা, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক টমটম, অটোরিকসাসহ বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপশি মন্ডবপুর, জোড়পুকুর, কদমা, কাশিমালা, করজবাড়ি, দনিগনিপুরসহ প্রায় ১০টি গ্রামের শিার্থী ও শতশত মানুষ সান্তাহার পৌরশহর, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে।
এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের জোড়পুকুর ও কাশিমালা গ্রামের পাশে মাছচাষের জন্য আবাদি জমি খনন করে বেশ কয়েকটি পুকুর তৈরী করে সেখানে মাছচাষ প্রজেক্ট করা হয়েছে। পুকুর খনন কালে জমির মাটি কেটে পাকা সড়ক ঘেঁষে মাটির স্তপ করে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সড়কে মাটি ফেলে রাখায় বৃষ্টির পানিতে সড়কের ওই স্থানে কাদা ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পাশাপশি যানবাহন ও সাধারণ পথচারিদের চলাচল মারাত্মক ভাবে বিঘিœত হচ্ছে। গ্রামবাসীরা জানায়, পুকুর খনন কালে পাড় না রেখেই সরকারি সড়ক ঘেঁষে মাটি ফেলে স্তুপ করে রাখায় সড়কের তির পাশাপাশি যানবাহন ও পথচারীদেও চলাচলে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যপারে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার বলেন, আমি সরজমিনে গিয়ে তাদের সড়কের পাশ থেকে মাটি সরানোর জন্য বলেছি। তারা কিছুটা মাটি সড়িয়ে ফেলেছে। পুরো মাটি রাস্তার ধার থেকে সড়ানো না হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমি আগামী কালই আবার যাব।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন