রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী  আজ 

সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী  আজ 
মো. কামাল হোসেন, হোমনা
সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কেবিনেট সচিব এবং বিএনপির জাতীয় স্থায়ীকমিটির সদস্য বরেণ্য রাজনীতিবিদ এম কে আনোয়ারের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (২৪অক্টোবর)। মরহুমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ তার পরিবারের পক্ষ থেকে তার রুহের মাগফিরাত কামনায়, হোমনায় তার নিজ বাড়িতে কোরআন খতম, তাবারক বিতরন ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান মরহুমের বড় ছেলে মাহমুদ আনোয়ার কাইজার।
 এছাড়াও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকেও মঙ্গলবার হোমনায় মরহুমের নিজ বাসভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জহিরুল হক জহর। এতে এমকে আনোয়ার এর পরিবারের সদস্য, বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান উপজেলা বিএনপির আহবায়ক।
প্রকাশ, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগতে থাকা প্রবীণএই রাজনীতিবিদ ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাসভবনে ৮৫ বছর বয়সে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। সেদিন বিএনপির এ নেতার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর শোকের
ছায়া নেমে আসে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকসহ তার সহকর্মীদের মধ্যে। শোকে
মুহ্যমান হয়ে যায় হোমনা, মেঘনা ও তিতাস উপজেলার মানুষ।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: এমকে আনোয়ার এর পুরো নাম মোহাম্মদ খোরশেদ আনোয়ার।
১৯৩৩ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ওপারচর গ্রামেতার জন্ম। তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (সম্মান) এবং ১৯৫৬ সালে পরিসংখ্যান বিষয়ে এমএসসি পাশ করেন। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন সিএসপি কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন তিনি। ৩৪ বছরের পেশাগত জীবনে (১৯৫৬-১৯৯০) তিনি ফরিদপুর ও ঢাকার ডেপুটি কমিশনার, জুটমিল কর্পোরেশন
সমিতি সভাপতি, টেক্সটাইল মিল কর্পোরেশনের সভাপতি, বাংলাদেশ বিমানেরসভাপতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সাস্থ্য সচিব,অর্থ সচিব এবং মন্ত্রীপরিষদ সচিবও ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ঢাকা জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ১৯৭২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন।
    চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ১৯৯১ সালে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যোগ
দেন। এর পর ১৯৯১ থেকে শুরু করে একটানা পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে দুবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
#
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন