সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

সংবাদ শিরোনামঃ

ঘোড়াঘাটে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মা-ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৩

ঘোড়াঘাটে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মা-ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৩
মনোয়ার বাবু,ঘোড়াঘাট, (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এক গৃহবধু(২২) কে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তার বাবা মোস্তাফিজুর রহমান(৫৫)। এঘটনায় চারজন কে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষনের মামলা করেছেন তিনি। এমামলায় এজাহারভুক্ত এক নারীসহ তিনজনকে শনিবার (২৬ আগস্ট) ভোর ৫টায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার বেলওয়া গ্রামের মামনুর রশিদ পলিন(২৮) পলিনের মা শিরিন আক্তার(৫৫) ও একই উপজেলার উত্তর দেবীপুরের মিজানুর রহমান মিজান(৩০)।
থানায় করা মামলা থেকে জানা যায়, অভিযুক্তদের  মধ্যে পলিনের বাসা গৃহবধুর বাড়ির পাশাপাশি হওয়ায় পলিন ও তার মা গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় কৌশলে ওই গৃহবধুকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে অনেক খুঁজাখুঁজির পর বাদি তার স্ত্রীর কাছে শুনতে পায়, তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে এবং মুক্তিপন হিসাবে এক লক্ষ টাকা দাবী করা হয়েছে। পরে ৪০হাজার টাকা দেয় অভিযুক্তদের। গত সপ্তাহের রবিবার (২০ আগষ্ট) রাত ১১টায় অভিযুক্তরা ওই গৃহবধূকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের জখম থাকায় সাথে সাথে তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ভর্তি করে পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় ও গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভূক্তভোগী ওই গৃহবধূর বর্তমানে দ্বিতীয় স্বামীর সংসার করছে। প্রথম স্বামীর সংসারে তার একটি সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় স্বামীর সংসার করা অবস্থায় পুনরায় প্রথম স্বামীর কাছে গিয়ে বেশ কিছুদিন সংসার করেছেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা  গৃহবধুর পরিবারকে সাথে নিয়ে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে তাকে আবারো দ্বিতীয় স্বামীর হাতে তুলে দেয়।
ভূক্তভোগী ওই গৃহবধূর মামা মামিদুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিরা আমার ভাগনিকে যখন আমাদের হাতে তুলে দেন, তখন তার শরীরে মারপিটের দাগ ছিল। তখন তার কাছে ঘটনা জানতে চাইলেও, সে ভয়ে কিছু বলছিলো না। পরে আমি তাকে ২-৩টা চড় থাপ্পর মারলে সে পুরো ঘটনা আমাদেরকে খুলে বলে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম রবিন বলেন, ভূক্তভোগী ওই গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আমি তার কাছে পুরো বিষয়টি জানতে গিয়েছিলাম। তবে তখন সে ধর্ষণের কোন অভিযোগ করেননি। তাকে মারপিট করা ও খাবার খাইয়ে অজ্ঞান করার কথা আমাকে জানিয়েছিলেন। যদি ঘটনার সত্যতা মিলে তবে আসামীদের কঠোর শাস্থি হওয়া দরকার।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, শনিবার সকালে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য ভিকটিমকে নারী পুলিশের হেফাজতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীদেরকেও আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক থাকা অপর এক নারী আসামীকে গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন