বিরামপুর দিওড় ইউনিয়নে মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে টিসিবি পণ্য বিক্রির উদ্বোধনে ইউপি চেয়ারম্যান
এন,এম,সজীব: মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৬ ডিসেম্বর বুধবার থেকে ভর্তুকি মূল্যে ডিসেম্বর মাসের পণ্য বিক্রয় শুরু করছেন সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এ মাসে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল চিনি ও চালের সঙ্গে পেঁয়াজ যুক্ত করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
তার’ই ধারাবাহিকতায়- দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলাধীন চার নম্বর দিওড় ইউনিয়নে ভর্তুকি মূল্যে ডিসেম্বর মাসের পণ্য বিক্রয় শুরু করছেন সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে টায় উপজেলার চার নম্বর দিওড় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ভর্তুকি মূল্যে ডিসেম্বর মাসের টিসিবি পণ্য বিক্রয় শুরুর উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন,ইউপি সচিব মোঃ মাসুদুর রহমান, ইউপি সদস্য মন্ডলীরাসহ সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র দুই ডিলারগন।
উল্লেখ্য গত ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় টিসিবি। এতে বলা হয়,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে-
টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরুর গত বুধবারে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান। জুলাই মাস থেকে এ বিক্রি কার্যক্রমে টিসিবি পণ্যের সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের (খাদ্য মন্ত্রণালয়) দেওয়া চাল যুক্ত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের বিক্রি কার্যক্রমে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বা রাইস ব্র্যান তেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা। অন্যদিকে এতদিন টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমে উপকারভোগীরা ৭০ টাকা দরে ১ কেজি চিনিও কিনতে পারবেন।
কিন্তু কয়েকমাস সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রমে চিনি বিক্রি করা হয়নি। এ মাসে সেটি আবারও বিক্রি কার্যক্রমে যুক্ত করা হয়েছে। এবারও প্রাপ্যতা সাপেক্ষে দেওয়া হবে। সঙ্গে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে দেওয়া হবে ২ কেজি পেঁয়াজ। তবে, চিনি পেঁয়াজ সব জায়গায় পাওয়া যাবে না। প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কয়েকটি স্থানে বিক্রি কার্যক্রমে চিনি বিক্রি করা হবে বলে তথ্য সূত্রে জানা যায়।