শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

এক বছরেও মেলেনি ২ বিষয়ে পাঠ্যবই, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ক্ষোভ

এক বছরেও মেলেনি ২ বিষয়ে পাঠ্যবই, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ক্ষোভ

(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার দক্ষিণ গাড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এক বছরে পায়নি দুই বিষয়ের পাঠ্যবই। বই ও গাইড কিনে পড়ালেখা করে মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে নবম থেকে দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে পরীক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। বুধবার (২৪ জানুয়ারী) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ গাড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দশম শ্রেণীর ১৩ শিক্ষার্থী বাংলা দ্বিতীয় পত্র ও কৃষি শিক্ষা  পাঠ্যবই এতদিনেও হাতে পায়নি। এইজন্য প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেছেন অভিভাবক ও সচেতন সমাজ।  প্রকাশে অনিচ্ছুক দশম শ্রেণীর কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান শিক্ষককে এই দুই বইয়ের কথা বলতে গেলে তিনি ধমক দিয়ে বলেন বই আছে বের করতে সময় লাগবে। সেই সময়েই নবম থেকে দশম শ্রেণীতে উঠলাম কিন্তু এই বই আজও পেলাম না। বাধ্য হয়েই গাইড বই ও অন্য স্কুলের বন্ধুদের বই মাঝেমধ্যে নিয়ে পড়ালেখা করতেছি।  ডন চন্দ্র রায় নামে এক অভিভাবক বলেন, নবম থেকে দশম শ্রেণীতে শিক্ষার্থীরা উঠলো কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা বই দুইটা না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা কিভাবে পড়বে? ১ বছর শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়ে গেল। শিক্ষকদের এমন উদাসীনতা আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। এইজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও নজরদারি প্রয়োজন। দক্ষিণ গাড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, বই নাই নিতে হবে। পরে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় যে এক বছর হইলো বই এতদিনে নিবেন তখন উনি বলেন বই খুঁজতে হবে। গোডাউনে আছে মনে হয় না হলে পুরাতন বই দিব। বই ছাড়া কিভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পরীক্ষা কিভাবে নিলেন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনজুরুল হক মুঠোফোনে বলেন, এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। এক বছরে তাঁরা বই পাবে না এটা তো দু:খজনক বিষয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত বই প্রদান করা হবে। ইউএনও মো: তাজ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। দ্রুত সময়ে শিক্ষার্থীদের বই প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বই প্রদানে গাফিলতি থাকলে জড়িতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত বছরের এসএসসি পরীক্ষায় এই স্কুলের ১২ জন শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে ৫ জন উত্তীর্ণ হয়। নেই বিজ্ঞান বিভাগের কোন শিক্ষার্থী। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অধিকাংশ শিক্ষক রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় ভয়ে অভিভাবকরা স্কুলের বেহাল অবস্থা ও শিক্ষকদের এমন উদাসীনতার প্রতিবাদ করতে পারে না।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন