মিসরকে হারিয়ে কোয়ার্টারে কঙ্গো
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিল মিসর। রবিবার রোমাঞ্চকর পেনাল্টি শ্যূটআউটে রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে আফ্রিকা নেশন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো। শেষ ষোলোর ম্যাচটি এদিন নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলার পর ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকলে গড়ায় টাইব্রেকারে। আর স্নায়ুক্ষয়ী এই টাইব্রেকারে কঙ্গোর গোলকিপার লিওনেল এমপাসি ১৮তম শটটি নেন। তার গোলের সৌজন্যেই ৮-৭ গোলে মিসরকে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করে ডি আর কঙ্গো। আইভরিকোস্টে চলছে নেশন্স কাপের ৩৪তম সংস্করণ। এবারের আসরের শুরু থেকেই একের পর এক অঘটন দেখছে ভক্ত-অনুরাগীরা। হট ফেভারিট ঘানা, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়ার মতো শক্তিশালী দলগুলো গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয়। এবার অঘটনের শিকার হলো মোহাম্মদ সালার দল মিসর। শেষ ষোলো থেকেই ছিটকে গেল তারা। ডি আর কঙ্গো এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায়। প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। মেসচ্যাক এলিহার গোলে লিড নেয় কঙ্গো। তবে এগিয়ে যাওয়ার এই উল্লাস অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি দলটি। এর ৯ মিনিট পরই মোস্তাফা মোহাম্মদ পেনাল্টি থেকে গোল করে মিসরকে সমতায় ফেরান। এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলাতেও আর কোনো গোল হয়নি। যে কারণে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই সময়ের ৭ মিনিটেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের খড়্গে পড়ে মোহাম্মদ হামদি মাঠ ছাড়ে। যার ফলে পরের সময়টুকু ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় মিসরকে। এই সময়েও কোনো গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর পেনাল্টি শ্যূটআউটের নবম রাউন্ডে মিসরের গোলকিপার গাবাস্কির শট ক্রসবারে লাগে। আর তাতেই যেন কপাল পুড়ে টুর্নামেন্টের সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। এরপর এমপাসি গোল করলে ৮-৭ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কঙ্গো। মিসরের অন্যতম সেরা তারকা এবং দলপতি মোহাম্মদ সালাহ আসরের মাঝপথেই ইনজুরিতে পড়েন। তার অনুপস্থিতিতে আলো ছড়াতে ব্যর্থ হয় দলটি। এবারের আসরে একটি ম্যাচেও জয় পায়নি মিসর। তবে নেশনস কাপে নকআউটপর্বের খেলা টাইব্রেকারে গড়ানো যেন মিসরের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে! সর্বশেষ ২০২১ নেশনস কাপে নকআউটপর্বে মিসরের খেলা চার ম্যাচের তিনটিই টাইব্রেকারে গড়ায়। শেষ ষোলো ও সেমিফাইনাল টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালেও স্নায়ুক্ষয়ের এই পরীক্ষা দিতে হয়েছিল ‘ফারাও’দের। এবার নেশনস কাপে গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচের সব ড্র করেই শেষ ষোলোয় উঠেছিল মিসর। গ্রুপপর্বে দ্বিতীয় ম্যাচেই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন দলটির সেরা তারকা সালাহ। সেরে ওঠার জন্য ইংল্যান্ডে নিজ ক্লাব লিভারপুলে ফিরে যান তিনি।চোট কাটিয়ে টুর্নামেন্টটির শেষ দিকে মিসর দলে যোগ দেওয়ার কথাও ছিল তার। কিন্তু তার আগেই মিসর বিদায় নেওয়ায় দেশের হয়ে আফ্রিকার শীর্ষ টুর্নামেন্ট জয়ের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল সালাহর জন্য। এর আগে ২০১৭ ও ২০২১ নেশনস কাপে ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেননি সালাহ। অন্যদিকে কঙ্গো ২০১৫ সংস্করণে সেমিতে ওঠার পর নেশনস কাপে এই প্রথম নকআউট পর্বে জয়ের দেখা পেল। রবিবার রাতে শেষ ষোলোর আরেক ম্যাচে গিনি ১-০ গোলে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিয়েছে একুটরিয়াল গিনিকে।