নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির যোগ্যতা প্রকাশ করলো কুবি
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : গুচ্ছভুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের বিষয়ভিত্তিক ভর্তির যোগ্যতার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো: আমিরুল হক চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্ততি থেকে জানা যায়, ‘এ’ ইউনিটের বিষয়সমূহের মধ্যে গণিত, পরিসংখ্যান, সিএসই ও আইসিটি বিভাগে ভর্তিচ্ছুদের ক্ষেত্রে জিএসটি গুচ্ছভূক্ত ভর্তি পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে উত্তর প্রদান করতে হবে। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তিচ্ছুদের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে গণিতে কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে। রসায়নে ভর্তিচ্ছুদের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিতে কমপক্ষে জিপিএ ২.৫০ থাকতে হবে। ফার্মেসীতে ভর্তিচ্ছুদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রসায়ন ও জীববিদ্যায় পৃথকভাবে কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ ও গণিতে কমপক্ষে জিপিএ ২.০০ থাকতে হবে। অর্থনীতিতে ভর্তিচ্ছুদের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অর্থনীতি, গণিত ও পরিসংখ্যান বিষয়ের যে কোন একটি থাকতে হবে। ইংরেজি ও আইন বিভাগে ভর্তিচ্ছুদের জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে ৪০% নম্বর পেতে হবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের (বিজ্ঞান, প্রকৌশল, কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, ব্যবসায় শিক্ষা) মোট ১৯টি বিভাগ (বাংলা, ইংরেজি, আইন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, অর্থনীতি, নৃবিজ্ঞান, প্রতœতত্ত্ব, লোক প্রশাসন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, পরিসংখ্যান, ফার্মেসী, কম্পিউটার সায়েন্সে অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, মার্কেটিং, একাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম) নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মোট আসন সংখ্যা-১০৩০টি। যার মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ৩৫০টি, ‘বি’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ৪৪০টি, ‘সি’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ২৪০টি। এছাড়া কুবির ৬টি অনুষদের মোট ১৯টি বিভাগের কোটাভিত্তিক আসন সংখ্যা ৯১টি। যার মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ৩২টি, ‘বি’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ৩৯টি, ‘সি’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ২০টি। ৭৮তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট থাকা সাপেক্ষে ক্রিকেট/হকি/ফুটবল/ভলিবল/ব্যাডমিন্টন খেলায় পারদর্শীদের খেলোয়াড় কোটায় অগ্রাধিকার দেয়ার সুপারিশ করা হয়।