রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

সচিবের পদমর্যাদা পাবেন জাতীয় অধ্যাপক, সর্বোচ্চ বয়স ৭৫ বছর

সচিবের পদমর্যাদা পাবেন জাতীয় অধ্যাপক, সর্বোচ্চ বয়স ৭৫ বছর

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : এখন থেকে সচিবের পদমর্যাদা পাবেন জাতীয় অধ্যাপক পদে মনোনীতরা। তাদের নিয়োগে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদে চারজনকে জাতীয় অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) এসব বিধান রেখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সই করা এক নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে ‘বাংলাদেশ জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগ, শর্তাবলি ও সুবিধাদি সিদ্ধান্ত মালা, ১৯৮১’ অনুযায়ী, জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগ দিয়ে থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন এ নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হলে আগের নীতিমালা রহিত হবে এবং নতুন নীতিমালার আলোকে জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগ দেওয়া হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, জাতীয় অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য অনধিক ৭৫ বছর বয়স্ক-যোগ্য অধ্যাপক মনোনীত হবেন। তবে মনোনয়ন কমিটি বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন অধ্যাপকের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল করতে পারবে। আর জাতীয় অধ্যাপক পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। তবে, মনোনয়ন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন। আরও বলা হয়েছে, জাতীয় অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ মনোনয়ন কমিটির কাছে প্রতিটি পদের বিপরীতে তিনজন করে যোগ্য ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে। মনোনয়ন কমিটি প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে জাতীয় অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন দেবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর নিয়োগের পরিপত্র জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালায় চার সদস্যের মনোনয়ন কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এই কমিটির চেয়ারম্যান হবেন শিক্ষামন্ত্রী। বাকি তিনজন সদস্য। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত দুজন মন্ত্রী কমিটির সদস্য হবেন। আর একজন সদস্য হবেন দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য। তবে জাতীয় অধ্যাপক সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন না। তিনি কোনো গবেষণা সংস্থা বা শিক্ষায়তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে নিজের পছন্দমতো ক্ষেত্রে গবেষণামূলক কাজ করবেন। তিনি গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন