কুড়িগ্রামের বরেণ্য আইনজীবী এনামুল হক চৌধুরীর মৃত্যুতে ফুল কোর্ট রেফারেন্স পালিত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম তথা উত্তরবঙ্গের বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বৃহত্তর রংপুর বিভাগের ফৌজদারী অধিক্ষেত্রের একজন কিংবদন্তী আইনজীবী, কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ৬বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কুড়িগ্রাম বারের জ্যেষ্ঠতম আইনজীবী, টিআইবি-সনাক কুড়িগ্রামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ সবাইকে কাাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন সোমবার। মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা আদালতে তার স্মরণে ফুল কোর্ট রেফারেন্স পালিত হয়। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো: আলমগীর কবীরের সভাপতিত্বে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আলমগীর কবির শিপনসহ সকল বিচারকগন ও আইনজীবীরা উপস্হিত ছিলেন। পরে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মরহুম অ্যাডভোকেট এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ এর সম্মানে আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন।
দুপুর ২ টায় কুড়িগ্রাম আইনজীবী সমিতির ভবনে প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট কে এস আলী আহমেদের সভাপতিত্বে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন এস এম আব্রাহাম লিংকন, আব্দুল খালেক চাঁদ, শামসুল হক সরকার, আবুল কাশেম, মো: ইয়াছিন আলী, আহসান হাবীব নীলু, সামসুদ্দোহা রুবেল, রুহুল আমিন দুলাল, বজলুর রশিদ, শফিকুল ইসলাম, মরহুমের পুত্র অ্যাডভোকেট এ টি এম এরশাদুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
জানা যায়, এ টি এম এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ সোমবার (১ মে) সকাল ১১টা ২০মিনিটে কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃতকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫বছর। ১৯৭৩সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। জেলার সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন। সর্বশেষ তিনি গণফোরামের জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কুড়িগ্রামের শিক্ষা এবং সংস্কৃতি বিকাশে তার ছিলো অগ্রগামী ভূমিকা।
জানা যায়, এ টি এম এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ সোমবার (১ মে) সকাল ১১টা ২০মিনিটে কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃতকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫বছর। ১৯৭৩সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। জেলার সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন। সর্বশেষ তিনি গণফোরামের জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কুড়িগ্রামের শিক্ষা এবং সংস্কৃতি বিকাশে তার ছিলো অগ্রগামী ভূমিকা।
এছাড়াও এই বরেণ্য ব্যক্তিত্ব কুড়িগ্রাম আইন মহাবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবৈতনিক শিক্ষকতা করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন পূত্র সন্তান রেখে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দুরারোগ্য ব্যাধীতে ভুগছিলেন।
কুড়িগ্রাম নাগরিক সমাজ ও আইনজীবীদের জন্য তার মরদেহ বিকেল ৫টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন চত্বর প্রথম জানাজা এবং সাড়ে ৫টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে সর্বস্তরের মানুষের জন্য শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাখা হয়। পরে রাত ৯টায় খলিলগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে ঘোষপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. আলমগীর কবীর, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবির শিপন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল হক,সিভিল সার্জন ডা: মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: শহীদুল্লাহ লিংকন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, জেলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট শামসুল হক সরকার, জেলা আইনজীবী সমিতি, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি, জেলা জাসদ, গণফোরাম, জেলা বাসদ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
কুড়িগ্রাম নাগরিক সমাজ ও আইনজীবীদের জন্য তার মরদেহ বিকেল ৫টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন চত্বর প্রথম জানাজা এবং সাড়ে ৫টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে সর্বস্তরের মানুষের জন্য শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাখা হয়। পরে রাত ৯টায় খলিলগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে ঘোষপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. আলমগীর কবীর, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবির শিপন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল হক,সিভিল সার্জন ডা: মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: শহীদুল্লাহ লিংকন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, জেলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট শামসুল হক সরকার, জেলা আইনজীবী সমিতি, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি, জেলা জাসদ, গণফোরাম, জেলা বাসদ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।