কৃষ্ণচূড়া-সোনালুর রঙে নতুন রূপে সেজেছে নন্দীগ্রামের প্রকৃতি
জিল্লুর রয়েল : ছয়ঋতুর বাংলাদেশে এখন গ্রীষ্মকাল চলছে। কাঠফাটা রোদ্দুর আর অসহ্য গরমে নিস্তেজ হয়ে পরেছে প্রাণিকুল। গ্রীষ্মের দাবদাহে হাঁসফাস করছে জনজীবন। তবে সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু ফুল প্রকৃতিতে মেলে ধরেছে তাঁর আপন রঙ।
এখন কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় লালে লাল হয়ে ফুটতে শুরু করেছে অগ্নিরাঙা কৃষ্ণচূড়া ফুল। অপরদিকে আমাদের অতিপরিচিত গ্রীষ্মের দৃষ্টিনন্দন হলুদ রঙের সোনালু ফুলও ফুটতে শুরু করেছে।
বগুড়ার নন্দীগ্রামের রুক্ষ প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া এবং সোনালু ফুলের রঙ ও সুভাষ যেনো সতেজ করে দিচ্ছে মানুষের মন। উপজেলার বিভিন্ন অফিস, স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার ও পথঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে চোখে পড়ছে গ্রীষ্মকালীন মনোমুগ্ধকর নানা প্রকার ফুল। বিশেষ করে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু ফুলের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে মুগ্ধ মানুষ।
নন্দীগ্রাম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আজম বলেন, কৃষ্ণচূড়া রোদে ক্লান্ত-ঘামা শরীর নিয়ে পথিক যায় কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে। এই গাছের ছায়ায় স্বস্তি পাওয়া যায়। কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু ফুলের গাছের নিচে গেলে এর সৌন্দর্যে মনপ্রাণ ভরে উঠে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, কৃষ্ণচূড়া বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন মাসে কৃষ্ণচূড়া ফুটে। কৃষ্ণচূড়ার আদিনিবাস পূর্ব আফ্রিকায়। আর সোনালু ফুলের আদি নিবাস হিমালয় অঞ্চলে। সোনালু ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যাসিয়া ফিস্টুলা। কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু ফুল এ উপজেলার প্রাকৃতির সৌন্দর্য অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। যা দেখে মনে হয় কৃষ্ণচূড়া-সোনালুর রঙে নতুন রূপে সেজেছে নন্দীগ্রামের প্রকৃতি।