কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে ঈদে বাড়ি ফেরা। বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। ঈদে ঘরমুখো মানুষের এই চাপকে স্বাভাবিক বলছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে বেশ তৎপর তারা। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়েছে। মানুষের চাপের কারণে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবে আগের মতো ট্রেন দেরিতে ছাড়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার অভিযোগ নেই যাত্রীদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কিনা। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মে তো মানুষে মানুষে ভরপুর। সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী সোহাগ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোন ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ। রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী সারজিনা বলেন, নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না। পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোনো ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ। রংপুর এক্সপ্রেসের আরেক যাত্রী বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময় মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারব, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না। টাঙ্গাইলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. রাজিব পাল চৌধুরী বলেন, বাড়ি ফেরার পথে যারা খোলা ট্রাক বা পিকআপযোগে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা মহাসড়কের ধুলা বালির নিঃশ্বাসের কারণে শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগতে পারেন। এ ছাড়া যাদের এজমার সমস্যার রয়েছে তাদের বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ধূলিকণা শ্বাসনালীতে ঢুকে ফুসফুসের ক্ষতি করে। এ ছাড়া চোখ জ্বালাপোড়া, হাঁপানি, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, যক্ষ্মা ও ক্যানসারের মতো রোগ হতে পারে। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোন অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।