পলাশবাড়ীতেও রেমালের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি
পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)সংবাদদাতাঃ ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে জেলার পলাশবাড়ীতেও। আর এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকের ফসলের। সোমবার সকাল থেকে সারা রাত বৃষ্টি আর দমকা বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছিল জনজীবন। রাতে ব্যাপক বাতাসে কৃষকের কলার গাছ,পানের বরজসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।২৮ মে মঙ্গলবার সকালে পৌর শহরের আন্দুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কলা চাষীরা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। এই গ্রামে প্রায় কয়েক হাজার কলার গাছ (কলাসহ) বাতাসে মাটিতে পড়ে গেছে। কলা চাষীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। রাতে কোন এক সময় দমকা বাতাসে গাছগুলো মাটিতে পড়ে গেছে। একই অবস্থা কিশোরগাড়ী ও হোসেনপুর ইউনিয়নের কলা চাষী ও পানচাষীদের। হোসেনপুর ইউনিয়নের পানচাষী শাহারুল ইসলাম জানান, বাতাসে আমার পানের বরজের সব কিছু উড়ে নিয়ে গেছে, এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে, পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ী গ্রামের কলা চাষী সিরাজুল ইসলাম জানান, আমার ১ হাজার ৫০০ কলা গাছ কলাসহ মাটিতে পড়ে গেছে এতে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, রেমালায় কৃষকদের কলার গাছ,পানের বরজের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে এখনি বলতে পারছি না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাতভর বাতাসে কৃষকরাই সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ জানান, রেমালের প্রভাবে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা করে সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।