শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

উলিপুরে কিস্তি না পেয়ে কম্বাইন্ড হারভেস্টারসুইচ টিপে বন্ধ করে দিয়েছে এসিআই কোম্পানী

উলিপুরে কিস্তি না পেয়ে কম্বাইন্ড হারভেস্টারসুইচ টিপে বন্ধ করে দিয়েছে এসিআই কোম্পানী

উলিপুর(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে বিলম্ব হওয়ায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারি ভর্তূকী মূল্যে বিতরণ করা কম্বাইন্ড হারভেস্টার (ইয়ানমার) মেশিন অফিস থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুইচ টিপে বন্ধ করে দিয়েছে এসিআই কোম্পানী। ধান কাটা-মাড়াই মৌসুমে মেশিনটি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষক ও মেশিন মালিক। এ ব্যাপারে কৃষক আপেল মাহমুদ গত ৯ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করছেন।
জানা গেছে, সরকার ধানকাটা মাড়াইয়ে দেশের শ্রমিক সংকট ও অভাব পূরণে কৃষি ব্যবস্থা আধুনিকরণে সারাদেশের ন্যায় জেলার উলিপুর উপজেলায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ধানকাটা মাড়াই’র জন্য ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৮টি এসিআই কোম্পানীর কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন সরকার ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ভর্তুকীতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের দারুন ভাবে সহযোগিতা করছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার এই মেশিন। কিন্তু হারভেস্টার মেশিন মালিকদের অভিযোগ, মেশিনগুলো নেওয়ার পর পরই মাড়াই মৌসুমে বারবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নষ্ট হওয়া নিয়ে কোম্পানীর কাছে সঠিক কোন সার্ভিস পাচ্ছেনা। কোম্পানীর প্রতিনিধির কাছে মেশিন মেরামত করে চাইলে কিস্তির টাকা দ্রুত পরিশোধ করাসহ নানান অজুহাত ও তালবাহানা করছে কোম্পানীর লোকজন। ধান কাটা মাড়াই মৌসুমে মেশিনের কিস্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় মঙ্গলবার (৯ মে) ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোম্পানী অফিস থেকে সুইচ টিপে পৌরসভার হায়াৎখা গ্রামের কৃষক আপেল মাহমুদ কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনটি বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের হাগম বিলে ধান কাটা অবস্থায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ধান কাটা মাড়াই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও মেশিন মালিক। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুতিসহ কিস্তি না পেয়ে মেশিনটি বন্ধ করে দেওয়ায় চলতি মাড়াই মৌসুমে কৃষকের পাকা ধান কাটতে শ্রমিক সংকটে েেতই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধান। কৃষকরা মেশিন মাালিকের কাছে ধন্যা দিয়ে ধান কাটতে না পেড়ে অনেকেই নিরোপায় হয়ে উচ্চ মূল্যে শ্রমিক নিয়ে ধান কেটে বাড়ি নিয়ে মাড়াই করছে।
উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে কোম্পানীর প্রতিনিধি আব্দুল জলিল বলেন, চুক্তি মেয়াদে কোম্পানীকে কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় মেশিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন জানান, কিস্তির বিষয়টি মেশিন মালিক ও কোম্পানীর। আমি কোম্পানির লোকের সাথে কথা বলেছি। কৃষকদের সোনার ফসল ঘরে তুলতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন এটাই প্রত্যাশা কৃষক ও হারভেস্টার মেশিন মালিকদের কাছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন