রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু

পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতাঃ
এক মাস ছয় দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদুৎকেন্দ্রের
তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়েছে। ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই ইউনিটটি শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে চালু হয়। এর উৎপাদিত বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩য় ইউনিটে গত ৩১ জুলাই বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, তৃতীয় ইউনিট থেকে বর্তমানে ১৯০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার ৩০০ মেট্রিক টন কয়লা লাগে।
বড় পুকুরিয়ার তিনটি ইউনিটের মধ্যে ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে আছে। গেল মাসে তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়ে যায়। দুটি ইউনিট উৎপাদনে না থাকায় পার্বতীপুর উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘিœত হয়।
এদিকে তৃতীয় ইউনিট চালুর পরই এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট। এই ইউনিটে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ চলবে। ১ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হতো ৬০-৬৫ মেগাওয়াট।
তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩য় ইউনিট স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক ২৫০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে। কিন্তু বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তবে তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনই চালানো হয়নি। খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নিভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি চলে।
বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, শুক্রবার বিকাল ৫টা ১৫ মিনিট থেকে তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড সরবরাহ করা হচ্ছে। শুক্রবার রাত ৯টার পর কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট সংস্কার কাজের জন্য এক সপ্তাহ বন্ধ থাকছে। ৩য় ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমবে আশা করা হচ্ছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন