পৌরসভায় নেই কোন দৃশ্যমান নাগরিক সেবা
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ জেলার পলাশবাড়ী পৌরসভা ২০১১সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরু হয়। পৌরসভাটি১৮.৩৮ বর্গ কিলোমিটার ও ২৪ টি মৌজা ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
দেখতে দেখতে ৫ বছর অতিবাহিত হলেও পৌরবাসী পাচ্ছে না কাঙ্খিত সেবা।
পৌরবাসী নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করলেও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অভ্যান্তরীন অনেক রাস্তা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় দুর্ভাগা পৌরবাসীকে।
পৌরবাসীর অভিযোগ, নিয়মিত পৌর কর প্রদান করা হলেও দৃশ্যমান কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি পৌর এলাকায়, নেই কোন সড়কবাতি,তাই ভুতুড়ে অন্ধকারে বাড়ছে চুরি ছিনতাই সহ নানাবিধ অপকর্ম। নির্দিষ্ট কোন ডাস্টবিন না থাকায় যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তাঘাট জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এতে করে বিঘ্নিত হয় যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা যায় পৌর সদর এলাকার হাইস্কুল রোড, প্রেসক্লাব,প্রফেসরপাড়া রোড, পিয়ারী স্কুল জামালপুর রোড, বেলের ঘাট রোড, পৌর শহরের বানিজ্যিক এলাকা কালিবাড়ী বাজার রোড এমনকি উডজেলার দ্বার প্রান্ত জলাবদ্ধদার জন্য সরকারি অফিসা যাহওয়ার ভোগান্তি যেন দেখার কেহ নাই।যারা দেখবে কারা এসি গাড়িতে চলাচল করে। চৌরাস্তাসহ প্রায় সকল রাস্তা ঘাটই একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এমন ভয়ানক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এতে করে স্কুল গামী শিক্ষর্থীরাসহ সকল শ্রেণী নাগরিকরা পড়ছে চরম ভোগান্তিতে, ৫ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা আব্দুস সোবহান বলেন পলাশবাড়ী পৌরসভা সীমানা নির্ধারনের আইনি জটিলতায় দীর্ঘদিন পর পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হলে পৌরবাসী অনেক খুশি হন কিন্তু কাঙ্খিত নাগরিক সেবা না পাওয়ায় পৌরবাসীর মনে এক চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানান। এছাড়াও একাধিক ভুক্তভোগী পৌরবাসীর সঙ্গে কথা বললে তারা রেগে গিয়ে বলেন ইউনিয়ন ছিলো ভালো ছিলো আগে দাপ্তরিক যে কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ট্রেড লাইসেন্স, নাগরিকত্ব, জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ,ওয়ারিশ সনদ সহ যে কোন সেবা তাৎক্ষণিক পাওয়া যেতো এখন তো ডিজিটালের নামে বেড়েছে সীমাহীন বিড়ম্বনা আর অবকাঠামোর বিষয়ে নাইবা বললাম যা আপনি আমি আমরা পৌরবাসী সহ উপজেলার সকলেই জানি। পৌর সদরের এমন নাজুক অবস্থা হয়ে থাকলেও বাকী পৌর এলাকা গুলো আরো ভয়ানক অবস্থা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী পৌরবাসী দ্রুত দৃশ্যমান নাগরিক সেবা প্রদানে পৌর কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।পৌরসভা স্থাপিত হওয়ার দীর্ঘ দিনেও নাগরিক সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রকৌশলী ও পৌর কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মর্তুজা এলাহী,প্রথমেই দুঃখপ্রকাশ করেন,এবং তিনি বলেন নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে অনেক কাজই করা সম্ভব হয়নি যেমন ইলেক্ট্রিসিটি নেটওয়ার্কের কারণে সরকবাতি দেয়া হয়নি তবে ইতিমধ্যে আমরা তিনশত বাতি লাগাবো যার মধ্যে খুব শীগ্রই একশত বাতি লাগানো হবে। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) আরো বলেন আপনি জেনে খুশি হবেন একনেকে দেয়া একটি প্রকল্প আর,ইউ,টি,ডি,পি(এম,জি,এস,পি) পাশ হয়ে গেছে যা দিয়ে আমরা বেশকিছু রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবো এছাড়াও আরো বেশ কিছু নাগরিক সেবা মূলক কাজ হাতে নিয়েছি যা দ্রুতই পৌরবাসী এসব সুফল ভোগ করবেন বলে আশাকরি।