নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলির ঘটনায় ২৯ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত ৫০০
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ পলইডাঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আইনজীবী রিয়াজুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে গত ৪ আগস্ট নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, মারধরসহ বিভিন্ন ধরণের হামলা চালায়। নড়াইল শহরের রাসেল সেতুর পূর্ব পাশে ছাত্র-জনতার কর্মসূচি চলাকালে এবং সেতুর ওপর দিয়ে শহরে প্রবেশের সময় তারা ছাত্র-জনতার ওপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। এছাড়া বোমাবর্ষণ ও লাঠিশোঠা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে।
এ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা এনায়েত হোসেন, সাফায়েত মোল্যা, জামিরুল ও উজ্জ্বল শেখের হাতে থাকা অবৈধ শর্টগান, রিভলবার ও পিস্তল দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় এবং বোমা বর্ষণ করে। আসামিদের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি লেগে মামলার বাদি শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। এ সময় শফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা লোহার রড ও লাঠিশোঠা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে বাদীকে সেতুর ওপর থেকে চিত্রা নদীতে ফেলে দেয়।
সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।