লালমনিরহাটের পাটগ্রামের  দহগ্রাম সীমান্তে থমথমে অবস্থা  অতিরিক্ত বিজিবি  মোতায়েন 

 লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্তে থমথমে অবস্থা। অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন। শূন্যরেখার মধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের বর্ডারগার্ড  (বিজিবি) কে কোনো কিছু না জানিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। এ নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবি উভয় সীমান্তে অতিরিক্ত সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করায় গোটা সীমান্তজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫  ইং তারিখে সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারত প্রধান পিলার ডিএমপি ৮ নম্বরের উপ-পিলার ৪৬ থেকে ৩৭ নম্বর সীমান্তের প্রায় অর্ধকিলোমিটারের মধ্যে বিএসএফ ৩০ থেকে ৩৫ জন নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে লোহার অ্যাঙ্গেল এর তৈরি খুঁটির মধ্যে প্রায় ৪ ফুট উচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে। শূন্যরেখার দেড় শত গজের শেষ অংশে স্থানীয়রা এসব স্থাপন করতে দেখে বিজিবিকে খবর দিলে  ৫১ বিজিবি  রংপুর  ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ও দহগ্রাম ক্যাম্পের বিজিবি  সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া স্থাপনে বাধা দেয়। কিছু সময় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখলেও পরবর্তীতে কয়েকশত বিএসএফ সদস্য এবং লোকজন নিয়ে আবারও বেড়া স্থাপনের কাজ করতে থাকে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে বিএসএফের অতিরিক্ত  সদস্য মোতায়েন করেছে ভারতীয়রা। গোটা দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে বিজিবিকেও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।

এদিকে দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করার ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার শেষ বিকেল পর্যন্ত  থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বিজিবি ও সীমান্তের স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , ভারতের কোচবিহার রাজ্যের ৬ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের করুণ ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন না মেনে শূন্যরেখার দেড়শত গজের একদম শেষ অংশে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফরিদ  জানান, বিএসএফের আগ্রাসী তৎপরতায় আমরা সীমান্তবাসীরা সব সময় আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি।  যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা বিজিবিকে সহায়তা করবো।

 সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবরে আধা কিলোমিটারে প্রায় ৩ ফুট উচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখ  বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড  ৫১ বিজিবি  ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (এডি) ওমর খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করে  জানান,সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিএসএফকে বাধা দেয়া হয়েছিল এবং  বেড়া উঠিয়ে নিতে হবে এ বিষয়ে বিএসএফকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরেজমিনে উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে নিশ্চিত করেছেন,  ওই বিজিবি কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য যে, এর আগেও ২ বার বিএসএফ সদস্যর ওই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিমাণে চেষ্টা চালিয়ে ব্যথ হয়েছিল।