রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হলেন রেমাউল ইসলাম

কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হলেন রেমাউল ইসলাম

 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) রেমাউল ইসলাম।সে ফুলবাড়ী উপজেলার জছিমিঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী,

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ এ তাকে জেলা পর্যায়ে কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর তত্তাবধানে সারাদেশে একযোগে এই শিক্ষা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
প্রতিভাবান আদম্য মেধাবী শিক্ষক রেমাউল ইসলাম ১৯৯৭ ইং সালে কুড়িগ্রামের উপজেলার ফুলবাড়ী জছিমিঞা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। ১৯৯৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।

এরপর দেশেরে উত্তরাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ কারমাইকেল কলেজ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিএ (অনার্স) ও এমএ(মাস্টার্স) উভয় পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণি অর্জন করেন। রংপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন।
এরপর ২০১২ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসেবে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন। তিনি তার পেশাগত দায়িত্ব যথারীতি সুনামের সাথে পালন করায় অল্পদিনের মধ্যে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসনের মাঝে তার সুখ্যাতি ও বিপুল জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রম কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষক রেমাউল ইসলাম। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ এ তাকে জেলা পর্যায়ে কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করায় তিনি তার কর্মে অবিচল থাকার আরও প্রেরণা পেয়েছেন।

শিক্ষক রেমাউল ইসলামের বন্ধু ইউনুছ আলী জানান, আমার বন্ধু রেমাউল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় আমরা গর্বিত। সে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে থেকেই একজন
মেধাবী ছাত্র হিসেবেই ছিল। আজ সে শিক্ষক।

তিনি আরও জানান, রেমাউল ইসলামের মতো মেধাবীরা যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পেশায় নিযুক্ত হন তাহলে অবশ্যই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি পাবে। সেই প্রতিষ্ঠানে ভালো শিক্ষার্থী জন্ম হবে। এসব মেধাবী শিক্ষকদের এভাবে সম্মান দেয়া মানেই শিক্ষার মানোন্নয়ন বৃদ্ধি করা।এ ব্যাপারে প্রতিক্রীয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে রেমাউল ইসলাম জানান, আমি জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত অনুভব করছি এবং নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠার সাথে পালন করার অঙ্গিকার করছি। আমি আমার স্বীয় মেধা ও জ্ঞানকে শিক্ষার্থীর কল্যাণে আজীবন ব্যয় করবো।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন