আদমদীঘিতে যাত্রীর ভুলে রেখে যাওয়া ল্যাপটপ ও ব্যাগ ফিরিয়ে দিলেন গরিবের রাজা
এএফএম মমতাজুর রহমান
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ
বগুড়ার আদমদীঘিতে এবার হারানো ল্যাপটপ ও ব্যাগ ফেরত দিলেন আজিজুল হক রাজা। উপজেলায় তিনি গরীবের রাজা নামে পরিচিত। গত সোমবার রাতে উপজেলার সান্তাহার জংশন স্টেশনের প্লার্টফর্মে ভুলে রেখে যাওয়া ব্যাগটি তুলে দিলেন মালিকের হাতে। এই ব্যাগটি গত বৃহস্পতিবার জংশন স্টেশনে ভুলে রেখে গিয়েছিলেন মনির হোসেন নামের এক চাকুরিজীবী।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে সান্তাহার থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সান্তাহার প্লাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন মনির হোসেন নামের এক ট্রেন যাত্রী। নামাজের সময় হওয়াই মসজিদের পাশে একটি বসার স্থানে ব্যাগ রেখে নামাজ পড়তে যান সেই যাত্রী। নামাজ পড়া শেষে ট্রেন চলে আসাই তাড়াহুড়াতে ভুলে ব্যাগটি রেখেই চলে যান তিনি। প্রায় ৫ ঘন্টা ব্যাগটি ওখানে পড়ে থাকায় স্টেশনে থাকা এক ছিন্নমূল ব্যাক্তি ব্যাগটি উদ্ধ্যার করে গরিবের রাজার কাছে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে গরিবের রাজা নামে পরিচিত আজিজুল হক রাজা বলেন, ব্যাগটি আমার কাছে নিয়ে আসার পর প্লাটফর্মে যাত্রীদের মধ্যে কারো ব্যাগ হারিয়েছে নাকি খোঁজতে থাকি। ব্যাগের মালিককে খুঁজে না পাওয়াই ব্যাগটি খুলে ব্যাগের মধ্যে ল্যাপটপ, গাড়ির লাইসেন্স ও আম দেখতে পাই। আমি সে সময় স্থানীয় সাংবাদিক সাগর খানকে খবর দিলে তার সহযোগিতাই ব্যাগে থাকা একটি লাইসেন্সের নাম্বার থেকে মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে ওনি এসে ব্যাগটি নিয়ে যায়।
স্থানীয় রানা হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি অনেক্ষণ থেকে দেখছিলাম রাজা ভাই কার ব্যাগ বলে খোঁজ করছিল। কিন্তু কাউকে পাচ্ছিল না। অবশেষে এক নারীর সহযোগিতায় ব্যাগটি নিয়ে এসে আমাদের সামনে খুলে দেখলো সেখানে কি আছে। এরপর ব্যাগটি সে নিজ হেফাজতে বাড়িতে নিয়ে যায়। হয়তো বা অন্য কেউ পেলে ব্যাগটি আর ফেরত দিত না। ব্যাগটি ফিরে পেয়ে ব্যাগের মালিক মনির হোসেন বলেন, আমি এক প্রকার ধরেই নিয়েছিলাম আমার হারানো ল্যাপটপ ও ব্যাগটি আর ফিরে পাবো না। কিন্তু সাংবাদিক সাগর খান নামের এক ভাই যখন ফোন করে জানালেন আপনার একটা ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে, তখন আর বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমার চেয়ে তার আগ্রহটাই বেশি দেখলাম। ফেরত দেওয়ার জন্য। সোমবার রাত নয় টার দিকে আমি আমার হারানো ব্যাগ ফেরত পেয়েছি। যেখানে ল্যাপটপসহ মূল্যবান যে সব মালামাল ও কাগজ ছিল সেগুলো ঠিকমতো ফেরত দিয়েছে রাজা নামের ব্যক্তিটি। ওখানে আমার অফিসের অনেক কিছু ছিল। তাই আমি রাজা ভাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো। শুধু এটুকু বলবো তার উদ্দেশ্য যেন সফল হয়।