শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

লালমনিরহাটে ২৭ ভিকটিম উদ্ধার ও মাদকসহ ১৪৫ জন গ্রেফতার

লালমনিরহাটে ২৭ ভিকটিম উদ্ধার ও মাদকসহ ১৪৫ জন গ্রেফতার
লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা।
 লালমনিরহাট সদর থানায় নবাগত  ওসি যোগদানের ২৭ কার্যদিবসে ২৭ ভিকটিম উদ্ধার ও মাদকসহ ১৪৫ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহর ও গ্রামের অপরাধ নির্মূল, আইন-শৃঙ্খলা উন্নতি, সন্ত্রাস, মাদক উদ্ধার, আসামী গ্রেফতার, সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা এবং দ্রুত পুলিশী সেবা পৌঁছানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ইতিমধ্যেই লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মো. ওমর ফারুক যোগদান করেছেন। তিনি যোগদানের মাত্র ২৭ কার্যদিবসে (প্রায় এক মাসে) ২৭ জন ভিকটিমকে উদ্ধার সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ১৪৫ জনকে গ্রেফতার সহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে কমে গেছে অন্যান্য মামলার সংখ্যা।
জানা গেছে, বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত সীমান্তবর্তী একটি জেলার নাম লালমনিরহাট। ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে জেলার সদর থানা গঠিত। এ থানার উত্তরে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভারতীয় সীমানা ঘেঁষা। সেই ভারতীয় সীমান্তের প্রায় ২২ কিঃ মিঃ লালমনিরহাটের দিকে কাটাতারের বেড়া নেই। ফলে লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর অধিকাংশ মানুষ অবৈধ পথে চোরাচালান করে থাকেন। এদের অনেকের ভারত বাংলাদেশ ২ দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে বলেও স্থানীয়রা জানান। ফলে অতি সহজে লালমনিরহাটে আসছে ফেনসিডিল, গাঁজা ও ইয়াবা সহ নানা সামগ্রী। তাই সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে এ জেলায় মাদকের বিস্তার কিছুটা বেশি। এসব সমস্যা মাথায় নিয়ে ২০২৩ সালের ৪ জুলাই লালমনিরহাট সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মো. ওমর ফারুক-কে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি জেলা সদর থানায় যোগদানের আগে এ জেলার উপজেলা পর্যায়ের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম থানায় দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত দক্ষতা, ন্যায় ও নিষ্ঠার পরিচয় দেয়ার সুবাদে লালমনিরহাট জেলা সদরের একটি গুরুত্বপূর্ণ থানার দায়িত্ব পেয়েছেন (ওসি) ওমর ফারুক। সদর থানা পুলিশ জানান, ৪ জুলাই সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মো. ওমর ফারুক যোগদানের ৩১ জুলাই পর্যন্ত (মাত্র ২৭ কার্যদিবসে) দ্রুত পুলিশী সেবা পৌঁছানোর পাশাপাশি সদর থানায় ১২টি মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ১৮ জন। এতে গাঁজা ১১ কেজি ২.২৫ গ্রাম, ফেনসিডিল ১শ ৮৯ বোতল, ইয়াবা ৩২০ পিচ, ভারতীয় মদ ৩০ বোতল, হিরোইন ৩৬ গ্রাম, ভারতীয় ট্যাপেন্ডা ৫৮ পিচ উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ৮০ জন ও জুয়া সহ নিয়মিত মামলায় ৪৭ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ছাড়াও সদর থানায় মামলা ৪৪টি ও আদালত থেকে প্রাপ্ত মামলা ৭টি এবং অপহৃরণ মামলার ভিকটিম ২ জন সহ জিডি মুলে আরো ২৭ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। লালমনিরহাট জেলায় কর্মরত সিনিয়র  সংবাদকর্মী লাভলু শেখ বলেন, আমি ওসি ওমর ফারুক-এর সদর থানায় যোগদানের খবরে অভিনন্দন জানিয়েছি। কারণ তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ পুলিশ অফিসার। সদর থানা এলাকার প্রধান প্রধান অপরাধমুলক সমস্যা চিহিৃত করে ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা ও দ্রুত আইনি সেবা পৌঁছে যাবে অসহায়দের দ্বারগোড়ায়। কমে যাচ্ছে অপরাধ। লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, অত্যন্ত দক্ষতা, ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে উপজেলার আইন-শৃঙ্খলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছি। খুব অল্প সময়ে সদর থানাধীন শহরের ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের অপরাধমূলক সমস্যাগুলো চিহিৃত করেছি। এখানে চুরি, ছোট-খাটো ছিনতাই, মাদকসেবীর প্রবণতা বেশি। জমিজমা নিয়ে মামলা তো আছেই। তাছাড়া সীমান্ত কাছাকাছি হওয়ায় অবাধে দেশে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে পুলিশী অভিযান প্রতিনিয়ত অব্যাহত রেখেছি। আমি উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গদের সহযোগীতা কামনা করছি।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন