মেয়েদের বিশ্বকাপ থেকে ফিফার আয় ৫৭ কোটি ডলার
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ২০২৩ নারী ফুটবল বিশ্বকাপ অনেক দিক থেকেই আগের আসরগুলোর থেকে আলাদা। এবারই প্রথম অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ২৪ থেকে বাড়িয়ে ৩২-এ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত ফিফার সিদ্ধান্তই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। কারণ এবারের আসর থেকে রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে বৈশ্বিক ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এবারের নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল মাঠে গড়াবে আগামী ২০ আগস্ট। সিডনি অলিম্পিক স্টেডিয়ামে (স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়া) মুখোমুখি হবে স্পেন ও ইংল্যান্ড। ম্যাচটি গ্যালারিতে উপভোগ করবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এবারের নারী বিশ্বকাপ থেকে ফিফার আয় প্রায় ৫৭ কোটি মার্কিন ডলার, যা নতুন রেকর্ড। এর আগে কাতার বিশ্বকাপ থেকে ফিফা আয় করেছিল ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার। যা এখন পর্যন্ত যেকোনো বিশ্বকাপ থেকে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড। সেই তুলনায় নারীদের বিশ্বকাপ থেকে আয় হয়েছে অনেক কম। তবে ৫৭ কোটিও নারীদের ফুটবলে নতুন রেকর্ড। এবারের আসর থেকে এত আয় দেখে অবাক হয়েছেন খোদ ফিফা প্রেডিসেন্টও। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপ থেকে আয় হয়েছে ৫৭ কোটি মার্কিন ডলার। আমরা কোনো লোকসান করিনি এবং ক্রীড়া ইতিহাসে ছেলেদের বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করেছি।’ দলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা নিয়ে প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন ইনফান্তিনো। তার মতে, সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করেছে ফিফা। তিনি বলেন, ফিফা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবারের আসর তার বক্তব্যের পক্ষেই কথা বলছে। অনেকেই ভেবেছিলেন দলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বকাপের অনেক ম্যাচে একতরফা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জ্যামাইকা ও মরক্কোর মতো দলগুলো যাদের র্যাংকিংয়ে অবস্থান ৪০-এর আশেপাশে, তারাও গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে গেছে। ইনফান্তিনোর মতে, দলের সংখ্যা বৃদ্ধি করায় বিশ্বকাপেরই লাভ হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নারী ফুটবল এতে উপকৃত হয়েছে। এ নিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা খেলাটির উন্নতির জন্য বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছি এবং আমরা বিশেষ লক্ষ্য রেখেছি মেয়েদের ফুটবলের দিকে। করোনা মহামারিতে যখন সবকিছু থমকে গিয়েছিল, তখনও আমরা কাজ চালিয়ে গেছি। যে কারণে নারীদের ফুটবল কঠিন সময়েও টিকে ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩২-এ উন্নীত করেছি। আমার মনে আছে সমালোচকরা বলেছিল এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। অনেকে বলেছিল অনেক ম্যাচের স্কোর হতে পারে ১৫-০, যা মেয়েদের ফুটবলের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। কিন্তু আগের মতোই ফিফা এক্ষেত্রে সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। নতুন ৮টি দলের অভিষেক হয়েছে।’