বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

পালিয়ে থেকে রক্ষা পেল না আসামি, হেফাজতে নিলেন থানা পুলিশ

পালিয়ে থেকে রক্ষা পেল না আসামি, হেফাজতে নিলেন থানা পুলিশ

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : পালিয়ে থেকে শেষ রক্ষা হল না জীবননগর উপজেলার শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক আসামি আবুল হোসেনের। বুধবার দুপুরে কোটচাঁদপুর পশু হাসপাতালের সামনের সড়কে দুর্ঘটনার স্বীকার হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ আসামি শনাক্ত করে হেফাজতে নিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ আবু সাঈদ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গেল ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ২০২৩) দুপুর বেলা মাদ্রাসাছাত্রী মরিয়ম খাতুন(১০) ৪ বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ির পাশের হাড়িভাঙ্গা মাঠে যায়। এ সময় ধর্ষক আবুল হোসেন শাক তুলে দেবার কথা বলে পাশের ভুট্টা ক্ষেতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর প্রথমে তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পালিয়ে যান তাঁর ৩ বান্ধবী। খবর দেন মরিয়মের স্বজন ও এলাকাবাসীদের।এরপর ঘটনাস্থলে এসে বিবস্ত্র গলাকাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। ওই ঘটনার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন আসামি আবুল হোসেন (ফটিক)।সে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর গয়েশপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। অন্যদিকে মাদ্রাসাছাত্রী মরিয়ম খাতুন (১০) গোয়ালপাড়া দক্ষিণ মসজিদপাড়ার ভ্যানচালক ইকবাল মন্ডলের মেয়ে।বুধবার দুপুরে আবুল হোসেন বাইসাইকেলযোগে কোটচাঁদপুর কলেজ বাস্ট্যান্ডে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে স্থানীয় পশু হাসপাতালের সামনে সড়কে মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে করে গুরুতর আহত হন সে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ ছুটে আসেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। শনাক্ত করেন আসামিকে। এরপর হেফাজতে নেন তাকে।বিষয়টি নিয়ে জীবননগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ বলেন, আবুল হোসেন (ফটিক) জীবননগর থানার শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। কোটচাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এ কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে সে অন্য একটা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। সে মামলায় জেল খেটে মুক্তি পেয়েছেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন