শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ফাইল ছুঁড়ে মারার ঘটনা লিখিতভাবে জানালেন দুই বিচারপতি

ফাইল ছুঁড়ে মারার ঘটনা লিখিতভাবে জানালেন দুই বিচারপতি

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর আদেশ দেয়াকে কেন্দ্র করে আদালতের এজলাস কক্ষে হট্টগোল ও ফাইল ছুঁড়ে মারা ঘটনা প্রধান বিচারপতিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন দুই বিচারপতি।মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।সোমবার (২৮ আগস্ট) হাইকোর্টে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা রিটের শুনানির সময় আদালতে নজিরবিহীন হট্টগোল হয়। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা দফায় দফায় জড়ান বাকবিতণ্ডায়। এ সময় বিচারপতিকে উদ্দেশ করে ফাইলও ছুঁড়ে মারেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।এর আগে, সকালে রিটকারী আইনজীবীরা সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া তারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর নির্দেশ চেয়ে একটি সম্পূরক আবেদন করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম হাইকোর্ট বেঞ্চে বসার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী কামরুল ইসলাম বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন।আদালতও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন। এতে এক পর্যায়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তারা এজলাসের সামনেই নজিরবিহীন বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে থমকে যায় বিচারকাজ। এ সময় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান দুপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত বার বার শান্ত হতে বললেও শোনেননি কেউই। পরে দুই বিচারপতি এজলাস ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় পেছন থেকে ফাইল ছুঁড়ে মারেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বিচারপতিরা চলে যাওয়ার পরও আদালত কক্ষে অবস্থান অব্যাহত রাখেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।পরে রিটকারীর আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নতুন আদেশে অনলাইন থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।কামরুল ইসলাম আরও বলেন, তারা অযাচিতভাবে কোর্টের কার্যকলাপকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। তারা এ মামলায় কীভাবে কথা বলেন? তারা কেন অহেতুক ডিস্টার্ব করেন? খামাকা তারা আদালতের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। তারা আদালতে ন্যক্কারজনক কাজ করেছেন।আর বিটিআরসি আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই- রাকিব জানান, হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রক্ষিতে শিগগিরই অনলাইন মাধ্যম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করবে সংস্থা।বিএনপিপন্থি আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামালের দাবি, ‘আদালতের ওপর অনাস্থা জানানোর পরও একতরফাভাবে আদেশ দিয়েছেন বিচারক। আমাদের বক্তব্য আপনাকে (বিচারক) শুনতে হবে। আমাদের বক্তব্য না নিয়ে কোনো অর্ডার পাস করতে পারেন না।’প্রসঙ্গত: আইনের চোখে পলাতক থাকায় ২০১৫ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করে নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের আদেশে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সব ধরনের মিডিয়ায় এ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রায়ই তার বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধ চেয়ে রুল শুনানির আবেদন করেন আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লীনা। এরপর আবার আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম, অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির এ নেতার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে সম্পূরক আবেদন করেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন