যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ইউরোপে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে, কমেছে ভারতে
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৮৮৫ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ পণ্য। যা শতাংশের হিসেবে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। তবে এসময়ে রপ্তানি কমেছে ভারতের বাজারে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ের জন্য প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে পূর্ববর্তী অর্থবছরের (২০২২-২৩) একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পোশাক রপ্তানি ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে ইইউ বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, জার্মানিতে আমাদের রপ্তানি ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে ৯৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং পোল্যান্ডের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু বড় বাজারে রপ্তানিও যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ২৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় যথাক্রমে রপ্তানি ৯৭৬ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন এবং ২৪৩ দশমিক ৪৪ মিলিয়নে মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। উভয় বাজারে ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং ৭ দশমিক ২২ শতাংশ হারে রপ্তানি বেড়েছে। একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানিও ২১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন বিলিয়নে পৌঁছেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি যথাক্রমে ৩৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে। তবে, ভারতে আমাদের পোশাক রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেড অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, পোশাক পণ্য রপ্তানির প্রায় ১৯ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যাচ্ছে। এরপর ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে ৪৮ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারে ১২ শতাংশ এবং কানাডায় ১৮ শতাংশের পোশাক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। অপ্রচলিত বা নতুন বাজারে ভালো করছি। এটা আমাদের জন্য প্রজেটিভ বিষয়। বিজিএমইএ সবসময় রপ্তানি বাড়াতে সজাগ থাকছে। এর ফলে রপ্তানি বাড়ছে উল্লেখ করে মহিউদ্দিন বলেন, ইউরোপে বড় বাজার সবসময় ছিল, এখনো আছে। যুক্তরাষ্ট্রে কখনো কম, কখনো বেশি হচ্ছে। তবে কানাডা ও যুক্তরাজ্যে নিয়মিতভাবে বাড়ছে। খুব বেশি পরিবর্তন হচ্ছে না। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি ভালো হলে রপ্তানি আরও বাড়বে। আশা করা যাচ্ছে, বাজার আরও ঘুরে দাঁড়াবে। কারণ বাংলাদেশে ভালো করার মতো অবকাঠামো আছে, দক্ষ জনবল রয়েছে। কিন্তু মার্কেটে পণ্যের ডিমান্ড থাকতে হবে। ডিমান্ড এখন আসলেই কম। যুদ্ধ ও সুদের অবস্থা উন্নতি হলে মার্কেট আরও ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছি।