বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

১৪ অক্টোবর ‘এস এম সুলতান নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা’

১৪ অক্টোবর ‘এস এম সুলতান নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা’

ফরহাদ খান, নড়াইল:

নড়াইলের ঐহিত্যবাহী চিত্রা নদীতে আগামি ১৪ অক্টোবর ‘এস এম সুলতান নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হবে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দোলন মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাস, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিম আহমেদ, নেজারত ডেপুটি কালেক্টরেট (এনডিসি) মুহাম্মদ আছিফ উদ্দীন মিয়া, শিক্ষাবিদ অশোক কুমার শীল, ইউসুফ আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, নড়াইল চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি হাসানুজ্জামান, জেলা সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডু, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর সিদ্দিকী, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক সুলতান মাহমুদসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, এস এম সুলতানের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আগামি ১৪ অক্টোবর নড়াইলের চিত্রা নদীতে ‘এস এম সুলতান নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা প্রান্তবন্ত হয়ে উঠে। এ বছরও জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা সবার। কমপক্ষে ২০টি নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এসএম সুলতান। অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন এসএম সুলতান। এস এম সুলতান চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে ১৯৮২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন