শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ফুলবাড়ীতে কার্ড লুকিয়ে রেখে ৬ মাসের ভিজিডির চাল তুলে নেয়ার অভিযোগ  

ফুলবাড়ীতে কার্ড লুকিয়ে রেখে ৬ মাসের ভিজিডির চাল তুলে নেয়ার অভিযোগ  
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ভিজিডি ( বর্তমান নাম ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট, ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির তালিকায় নাম থাকলেও কার্ড লুকিয়ে রেখে এক দুস্থ নারীর ৬ মাসের চাল তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ৬ মাসের মোট ১৮০ কেজি পুষ্টি চাল না পেয়ে চরম কষ্টে দিনতিপাত করছে পরিবারটি।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম মিনা বেগম(৫৫)। তিনি উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গজের কুটি গ্রামের দিনমজুর জপুর আলীর স্ত্রী।
জানা গেছে, নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন সচিব শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ চক্রে ভিজিটি কার্ডের আবেদন করে তালিকাভুক্ত হন মিনা বেগম। কিন্তু প্রথম বিতরণের দিন চাল তুলতে গেলে তার নামে ভিজিডি কার্ড হয়নি বলে তাকে জানানো হয়। ভিজিডি কার্ড না হওয়ায় কিছুদিন পর ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের  সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ফেরদৌসি বেগম মিনা বেগমের নামে ১৫ টাকা কেজির চালের একটি রেশন কার্ড করে দেন। কিন্তু রেশন কার্ডের চাল তুলতে গিয়েও মিনা বেগম দেখেন রেজিষ্টারে তার নাম নাই। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে মিনা বেগমের স্বামী জপুর আলী উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরে গিয়ে জানতে পারেন, ভিজিডি কার্ডের তালিকায় মিনা বেগমের নাম থাকায় তার রেশন কার্ড হয়নি। পরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে গেলে তাকে জানানো হয় তার স্ত্রী মিনা বেগমের ভিজিডি কার্ড নম্বর -৪৩ ওয়ার্ড নম্বর- ০৯। এর মধ্যেই পেরিয়ে যায় ৬ মাস।
ভুক্তভোগী মিনা বেগম ও তার স্বামী জফুর আলী বলেন, কার্ড লুকিয়ে রেখে আমাদের ছয় মাসের চাল তুলে খেয়েছে কে বা কাহারা। তারা  ৬ মাসের চালসহ ভিজিডি কার্ডটি উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গজেরকুটি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম বলেন, শুনেছি ভিজিডি কার্ডের তালিকার ৪৩ নম্বর সিরিয়ালে মিনা বেগমের নাম আছে। কিন্তু কেন তিনি ৬ মাস ধরে চাল তুলতে পারেননি, সেটা আমার জানা নাই। তবে সামনের চাল বিতরণের সময় ৪৩ নাম্বার সিরিয়ালটি আটক করলে এর সমাধান হবে বলে আশাকরছি।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় আছি। ঢাকা থেকে ফিরে বিষয়টি দেখবো।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ সোহেলী আক্তার বলেন,  মিনা বেগমের
বরাদ্দকৃত পুষ্টি চাল কে তুলছেন সামনের চাল বিতরণের সময় জানা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে মিনা বেগমের ৬ মাসের ১৮০ কেজি পুষ্টি
চাল ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে অবগত করা হচ্ছেতিন’শ । সেই সাথে দ্রুততম সময়ে ভিজিডির কার্ড উদ্ধারসহ ৬ মাসের চাল সুবিধাভোগীকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এবং ভিজিডি কার্ডের অনিয়ম পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন