বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

স্বপ্ন পূরণ হলো ২১ জেলার মানুষের

স্বপ্ন পূরণ হলো ২১ জেলার মানুষের

মুক্তিনিউজ২৪.কম ডেক্স : ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উদ্দেশে স্বপ্নের ট্রেন নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উদ্যেশে ট্রেন ছাড়ে।

যাত্রা শুরুর আগে রেলমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বপ্ন একটা একটা করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন; তারই অংশ হিসেবে আজ ট্রেইল ট্রেন চলছে।

মন্ত্রী বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে এবং সে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, আমরাই রেলকে যশোর পর্যন্ত নিয়ে যাব; তবে তার জন্য আমাদের ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন, প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাইদ আহমেদ।

তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করতে আমাদের তিন মাস সময় দেরি হয়েছিল। তার পরেও সময় মতো কাজ শেষ করতে পারায় আমরা আনন্দিত। ইতিমধ্যে আমাদের এই অংশের কাজের ৯২ ভাগ শেষ হয়েছে। বাকি কাজই প্রকল্প মেয়াদের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। দক্ষিণ বাংলার ২১ জেলার বাসিন্দাদের কাছে স্বপ্ন ছিল সেতু দিয়ে নদী পার হওয়ার। সেটা পূরণ হচ্ছে। গত বছর ২৫ জুন শত বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আজ তার সাথে যোগাযোগের নতুন অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে ট্রেন চালুর মাধ্যমে।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রাণিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু , নাহিম রাজ্জাক, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, সাগুপতা ইয়াসমিন এমিলি, আবদুস সোবহান গোলাপ।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।

সামনে ট্র্যাক কার তার পেছনে ৭ বগির বিশেষ ট্রেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পদ্মা সেতুর দিকে যাত্রা করে মন্ত্রী উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে। গন্তব্য পদ্মা সেতু পার হয়ে মাওয়া রেল স্টেশনে যাওয়া। ভাঙ্গা স্টেশন হতে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার। ওই ৪২ কিলোমিটার পথে রেল চালানো হচ্ছে।

এ ছাড়া সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, রেলওয়ে ও রেল লিংক প্রকল্পের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা ট্রেনে ওঠেন। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪২ নম্বর ও মাওয়া প্রান্তের ১ নম্বর পিলারে আতশবাজি ফাটিয়ে উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করা হয়।

পদ্মা সেতুর রেললিংক প্রকল্প সূত্র জানায়, যাত্রীদের ট্রেনে চলাচলের জন্য ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া পর্যন্ত ৪টি স্টেশন ও ১টি জংশন স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। তা হলো- ভাঙ্গা স্টেশন, ভাঙ্গা জংশন স্টেশন, শিবচর স্টেশন, পদ্মা স্টেশন ও মাওয়া স্টেশন। দুপুরে ৭ বগির বিশেষ ট্রেন ও রেল ট্র্যাকারটি পদ্মা সেতুর দিকে রওনা হয়। দুই ঘণ্টায় ৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে দুপুর আড়াইটায় সেতু পার হয়ে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছায়। পথিমধ্যে শিবচর ও পদ্মা স্টেশনে দাঁড়ায় ট্রেনটি।

পদ্মা নদীর তীরে অতিক্রম করে প্রথম যে ট্রেনটি সেটি চালিয়ে নিয়ে যান রবিউল আলম (৪৩)। এর আগে সোমবার (৩ এপ্রিল) রাতে এই বিশেষ ট্রেনটি সৈয়দপুর থেকে ঈশ্বরদী পোড়াদাহ হয়ে রাজবাড়ী ফরিদপুর হয়ে ভাঙ্গা স্টেশনে আসে।

চালক রবিউল আলম জানান, পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে প্রথম ট্রেন চালাচ্ছি আমি, বিষয়টা ভাবতেই সবকিছু স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে ঘটনাটি তিনি জানতে পারেন এবং তারপর থেকেই তিনি এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন