চিকিৎসা বিজ্ঞান দিয়ে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু আজ
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : অক্টোবরের শুরু মানেই নোবেল পুরস্কারের মৌসুম। সোমবার (২ অক্টোবর) থেকে নতুন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হবে; যা চলবে আগামী ছয় দিন। এসময় একে একে পুরো বিশ্ব থেকে ছয় বিষয়ের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে এবারের নোবেল পুরস্কার মৌসুমের সূচনা হবে। এদিন স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায়) স্টকহোমে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
এরপর একে একে আগামী মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞান, বুধবার রসায়ন এবং আগামী বৃহস্পতিবার সাহিত্যের নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। আর চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার আগামী শুক্রবার (৬ অক্টোবর) এবং ৯ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ী ঘোষণার মাধ্যমে এবারের নোবেল পুরস্কারের পর্দা নামবে।
মূলত মোট ছয়টি বিভাগে ছয় দিনে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। আর নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।
নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেছিলেন কে?
চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য এবং শান্তিতে পুরস্কারের যাত্রা শুরু হয়েছিল আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছায়। সুইডিশ শিল্পপতি, ধনকুবের ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেডের নামে এই পুরস্কারের প্রবর্তন শুরু হয়। আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সালে প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রতিটি পুরস্কারের মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ৯ লাখ ডলার)। ১৮৯৬ সালের ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেল মারা যান। প্রত্যেক বছরের নোবেল বিজয়ীদের হাতে আলফ্রেড নোবেলের মারা যাওয়ার দিন (১০ ডিসেম্বর) একটি সনদ ও স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হয়।
অর্থনীতির পুরস্কার মূলত আনুষ্ঠানিকভাবে আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে প্রবর্তন করেছে ব্যাংক অব সুইডেন। ১৯৬৮ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পুরস্কার চালু করে। ১৯০১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নোবেল এবং অর্থনীতির পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ছয় শতাধিক বার।
প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারেন কারা?
বিশ্বের নানা প্রান্তের হাজার হাজার মানুষ নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। এই ব্যক্তিদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, আইনপ্রণেতা, পূর্ববর্তী নোবেল বিজয়ী এবং কমিটির সদস্যরাও রয়েছেন।
প্রত্যেক বছর মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম পরবর্তী ৫০ বছরের জন্য গোপন রাখা হয়। তবে যারা মনোনয়ন জমা দেন তারা অনেক সময় নিজেদের মনোনীত ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন— বিশেষ করে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য।
শান্তির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় নরওয়েতে। আর অন্যান্য পুরস্কার দেওয়া হয় সুইডেনে। আলফ্রেড নোবেলও এভাবেই পুরস্কার দিতে চেয়েছিলেন। তবে আলফ্রেড নোবেলের এই ইচ্ছার সঠিক কারণ এখনও অজানা।
যদিও তার জীবদ্দশায় সুইডেন এবং নরওয়ে একটি ইউনিয়নে যোগ দিয়েছিল; যা ১৯০৫ সালে ভেঙে যায়।