সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

কমছে তিস্তার পানি, বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক

কমছে তিস্তার পানি, বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করলেও দুপুরের পর থেকে কমতে শুরু করছে।তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্ট পানি দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় বিপদসীমার ৫ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।বন্যার আতঙ্ক কমলেও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে তিস্তার দু পাড়ের মানুষ।তবে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আবাদী জমি ও আমনক্ষেত পানি বদ্ধ হয়ে পড়েছে।বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তার পানি দুপুর পর্যন্ত আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে কমতে শুরু করেছে।অন্যদিকে গতকাল তিস্তার দুই পাড়ের মানুষকে সরিয়ে মাাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু মানুষজন তাদের ঘর-বাড়ি এখনও অবস্থান করছেন। বন্যার সংশয় দুর হলেও ভাঙন আতঙ্ক রয়েছে তীরবর্তি মানুষজন। এলাকার নয়ন মিয়া বলেন, গতকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বড় নাকি বন্যা হবে,এই চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি নাই আমরা। স্থানীয় প্রশাসন গতকাল এসে সাবধানে থাকতে মাইকিং করে গেছে।দুপুর পর্যন্ত বন্যার দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম।দুপুরের পর পানি কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়। চর খিতাব খাঁ,ঘড়িয়াল ডাঙা এলাকার হাতো গোনা দু একটি বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রামে ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত থেমে থেমে অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং আগামীকাল শুক্রবার বৃষ্টিপাত কমে স্বাভাবিক হতে পারে। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় বলেন, তিস্তায় আকস্মিক বন্যার আশংকায় নদীর অববাহিকায় মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা সজাগ রয়েছেন। ১৪টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেয়ার ফলে ভারতীয় অংশে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বেড়েছিল। বর্তমানে তিস্তার পানি কমে বিপদসীমা ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এর পর আমর খোঁজ খবর রাখছি স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে। জেলার ১৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণ ব্যবস্থা প্রস্তুত আছে বলে জানান তিনি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন