আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ১৫, ধ্বংসস্তূপে চাপা অনেকে
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শনিবার ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ হয়েছে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এ ছাড়া আরো অনেক মানুষ আহত হয়েছে। ধসে পড়া ভবনের নিচে অনেক মানুষ চাপা পড়ে থাকায় এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একটি ভিডিও বিবৃতিতে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোল্লা জান সায়েক বলেছেন, ১৫ জন নিহত ছাড়াও তিনটি প্রদেশে অনুভূত কম্পনে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছে।
এগুলো প্রাথমিক সংখ্যা জানিয়ে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কাছাকাছি গ্রামীণ ও পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এর আগে হেরাত প্রদেশের জনস্বাস্থ্য পরিচালক মোহাম্মদ তালেব শহিদ ১৪ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হওয়ার খবর দিয়ে বলেছিলেন, এটি চূড়ান্ত পরিসংখ্যান নয়। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় হাসপাতালে আনা মানুষের ওপর ভিত্তি করে এ সংখ্যাটি জানানো হয়েছে। তাদের কাছে তথ্য আছে, আরো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ওই অঞ্চলের বৃহত্তম শহর হেরাত থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভূমিকম্পের পর সাতটি আফটারশক অনুভূত হয়। তালেবান সরকারের একজন মুখপাত্র ভূমিকম্পের পর জানিয়েছিলেন, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ভূমিকম্প শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসিন্দা ও দোকানদাররা শহরের ভবনগুলো থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় ২৫ জন আহত এবং একজনের মৃত্যু হয়। হেরাতের ৪৫ বছর বয়সী বাসিন্দা বশির আহমেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের অফিসে ছিলাম। হঠাৎ ভবনটি কাঁপতে শুরু করে। দেয়ালের প্লাস্টার নিচে পড়তে শুরু করে এবং দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। কিছু দেয়াল ও ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়ে।
আমি আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না, নেটওয়ার্ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন। আমি খুব চিন্তিত ও ভীত। এটা ভয়ংকর ছিল।’ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা প্রথম ভূমিকম্প ও আফটারশকের পর মুহূর্তের মধ্যে উঁচু ভবন থেকে দূরে হেরাতের বিস্তীর্ণ রাস্তায় নারী ও শিশুদের ভিড় জমেছিল।