ইনিংস হারের শঙ্কা উড়িয়ে শক্ত অবস্থানে আইরিশরা
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : আগের দিন মনে হয়েছিল, ইনিংস পরাজয়ই বুঝি এড়াতে পারবে না আয়ারল্যান্ড। ১৪ রানেই সফরকারীদের চার ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছিলেন দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান আর তাইজুল ইসলাম।
৪ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে আইরিশরা। সেই দলটিই দিন শেষ করেছে ৮ উইকেটে ২৮৬ রান নিয়ে। অর্থাৎ সারাদিনে মোটে ৪টি উইকেট তুলে নিতে পেরেছে টাইগাররা, অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড রান তুলেছে ২৫৯।
এখন পর্যন্ত আইরিশদের লিড ১৩১ রানের। হাতে ২ উইকেট। ৭১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে আছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, গ্রাহাম হুমে অপরাজিত ৯ রানে। সকাল সকাল তাদের অলআউট করতে না পারলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়বে সাকিব আল হাসানের দল, কেননা ব্যাট করতে হবে চতুর্থ ইনিংসে।
দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলামের মায়াবী ঘূর্ণিতে ১৩ রানে ৪টি উইকেট হারিয়ে বসেছিল আয়ারল্যান্ড। ১৫৫ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পর দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর কারণে আইরিশদের সামনে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো।
তবে এই পরিস্থিতি সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা হ্যারি টেক্টর এবং জিম্বাবুয়ের হয়ে ৮ টেস্ট খেলে আসা পিটার মুর। দ্বিতীয় দিনের ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছে এই দুই ব্যাটার। দিনের শুরুতে বাংলাদেশের বোলারদের চাপ সামলে ভালোভাবেই দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন এই দু’জন।
কিন্তু তাদের ৩৮ রানের জুটিকে বেশিদূর এগুতে দেননি শরিফুল ইসলাম। পিটার মুরকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। ৭৮ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে যান পিটার মুর। এরপর ৭২ রানের জুটি গড়েন হ্যারি টেক্টর এবং লরকান টাকার। ৫৬ রান করে তাইজুলের বলে আউট হন টেক্টর।
কিন্তু লরকান টাকার আর অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের সপ্তম উইকেট জুটি ভাঙতে রীতিমত ঘামই ঝরেছে বাংলাদেশের। ১৭১ বল খেলে ১১১ রান যোগ করেন তারা। দলকে এনে দেন লিড।
অথচ জুটিটা ভাঙতে পারতো ৮৫ রানের মাথায়, আইরিশদের দলীয় সংগ্রহ তখন ২০৮। ইনিংসের ৭৮তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ পরাস্ত করেছিলেন ম্যাকব্রিনকে। ৩৪ রানে থাকা এই ব্যাটারের প্যাডে বল লাগলে আবেদনে আঙুলও তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার।
কিন্তু ম্যাকব্রিন সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার প্যাডে লাগার আগে হালকা করে ব্যাটে স্পর্শ করে গেছে। বেঁচে যান ম্যাকব্রিন।
তার সঙ্গী লরকান টাকারকে আটকানো যাচ্ছিল না কিছুতেই। দেখেশুনে খেলে আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির কীর্তি দেখান তিনি।
অবশেষে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফেরান এবাদত হোসেন। তার ওপর চড়াও হতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে শরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন টাকার। ১৬২ বলে আইরিশ এই ব্যাটার তার ১০৮ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ১৪টি বাউন্ডারি আর এক ছক্কায়।
এরপর মার্ক এডায়ার ৪৯ বলে ১৩ করে তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত করে লিটন দাসের গ্লাভসে ধরা পড়েন। তাইজুল ৮৬ রান দিয়ে এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ৪টি উইকেট।