শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায় করতো তারা

ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায় করতো তারা

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : পরিবারের কোনো সদস্যের অসুস্থতার কথা বলে সাহায্য চাওয়া। কেউ এগিয়ে এলে কৌশলে তার মোবাইল নম্বর নিয়ে নেয়া। পরে আবারও সাহায্যের জন্য ফোন। একটা পর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ বলে বাসায় দেখতে যাওয়ার অনুরোধ। আর সেখানে গেলেই ঘটে বিপত্তি। জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে আদায় করা হয় মোটা অঙ্কের অর্থ। বিএমডব্লিউ গ্রুপের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানিয়েছে এমন তথ্য। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন জানান, মাস দেড়েক আগে চলতি পথে এক নারী রবিউল ইসলাম নামে এক গণমাধ্যমকর্মীর কাছে তার বাবার অসুস্থতার কথা বলে সাহায্য চান। সাধ্যমতো সাহায্য করেন রবিউল। কৌশলে ওই নারী রবিউলের মোবাইল নম্বর নিয়ে নেন। কয়েক দিন পর ফোন করে আবারও সাহায্য চান। এক পর্যায়ে রবিউলকে বাসায় ডেকে নিয়ে জিম্মি করেন। ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে আদায় করা হয় মুক্তিপণ। তিনি আরও জানান, রবিউলকে আটকানোর পর তারা চাহিদামতো টাকা না পেয়ে তার স্ত্রীকে ফোন করে জানায়, তার স্বামী মাদকসহ আটক হয়েছে। তখন পুলিশকে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিকাশে টাকা নেয় চক্রটি। একপর্যায়ে রবিউলকে রাস্তায় ছেড়ে দিলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ৯৯৯-এ কল দেয়। তখন পুলিশ গিয়ে ঘটনা জানতে পারে। ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মাস দেড়েক আগে চলতি পথে এক নারী তার বাবার অসুস্থতার কথা বলে সাহায্য চান। আমি সাধ্যমতো সাহায্য করি। পরে তার বাবাকে বাসায় দেখতে গেলে  দু-তিনজন এসে আমাকে ঘিরে ধরে। আমার মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এরপর এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড নিয়ে টাকা তুলে নেয়। পরে আরও অনেক টাকা দিয়ে মুক্তি পাই।’ মিরপুর মডেল থানার ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে একটি ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের সন্ধান পাই আমরা। চক্রটির অধিকাংশ সদস্যই নারী; আছে পুরুষও। পরে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, বাবু, মুনমুন ও ওয়াসফিয়া মূলত এই চক্রটি পরিচালনা করে। তিনজনের নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে তারা এর নাম দিয়েছে বিএমডব্লিউ গ্রুপ। বিএমডব্লিউ গ্রুপের সদস্যদের হাতে এমন অভিনব প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছেন অনেকেই। পুলিশ বলছে, পরিবারের কোনো সদস্যের অসুস্থতার কথা বলে তারা মূলত ফাঁদ পাতে। কৌশলে বাসায় ঢুকে মাদক ও নারীসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় অর্থ।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন