বিয়ের করতে বলায় পরকীয়া প্রেমিকাকে খুন করে বিদেশে যায় দেলোয়ার
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : চার বছর নিজেকে আড়ালে রাখেন দেলোয়ার। দেলোয়ার-লিলুফার ছিল পরকিয়া সম্পর্ক। বিয়ের চাপ দিলে লঞ্চের কেবিনে লিলুফাকে খুন করে বিদেশ পালিয়ে যায় দেলোয়ার। দেশে এসেই পিবিআই এর হাতে ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ক্লুলেস এ হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
বনজ কুমার বলেন, বাসায় ফার্নিচারের কাজের সূত্র ধরে লিলুফা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে দেলোয়ার মিস্ত্রির। লিলুফাকে বিয়ে করার কথা বলে চাঁদপুর থেকে লঞ্চে করে ঢাকায় রওনা হন তাঁরা। লঞ্চে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে লিলুফাকে শ্বাস রোধ করে খুন করেন দেলোয়ার। খুন করার ১০ দিনের মাথায় ব্রুনাই চলে যান দেলোয়ার।
খুনের চার বছর পর বিদেশে বসে লিলুফা হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে ভাগ্নেকে ফোন করেন দেলোয়ার। সেই কথাপকথনের সূত্র ধরে রহস্য উদঘাটন হয় হত্যা মামলার। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর ব্রুনাই থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আসার পর দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন দেলোয়ার।
পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, খুন করে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে লঞ্চের বুকিং রেজিস্টারে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীরের নামের পাশে ভুক্তভোগীর মোবাইল নম্বর লিখে দেন। তাই শুরুতে জাহাঙ্গীরকে সন্দেহ করেই মামলার তদন্ত শুরু হয়। চার বছর নিজেকে আড়ালে রাখলেও তিনি ফোন কলে কথার সূত্র ধরে ধরা পড়লেন।
সূত্র:এবিনিউজ২৪