ঘোড়াঘাটে অনাবাদি ও পতিত জমিতে সজনের চাষ
মনোয়ার বাবু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ অনুকূল আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সজনে ডাটার ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে বাড়ির পাশে, পতিত জমিতে, রাস্তার পাশে প্রতিটি সজনে গাছের শাখা-প্রশাখা নুয়ে পড়ছে ডাটার ভারে।পুষ্টিগুনে ভরপুর আঁশ জাতীয় সবজি সজনের ফলন হয়েছে ভাল।আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর সজনে বিক্রি করে লাভবান হবেন কৃষকেরা।
বহুগুণে গুণান্বিত সবজি সজনে ডাটা। বাজার চাহিদা বেশি থাকায় প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সজনে গাছগুলোর প্রতি যত্নশীল হয়েছেন মালিকরা। মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি সজনে ১৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়ে দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে প্রায় ৬০ হেক্টর অকৃষি বা পতিত জমিতে মৌসুমী ও বারোমাসি জাতের সজনার চাষ হয়েছে। যা থেকে ৬ শত মেট্রিক টন সজনে উৎপাদনের সম্ভবনা আছে। এক সময় বাড়ির আশপাশের সীমানায় সজনের গাছ লাগানো হতো। বর্তমান সময়ের প্রয়োজনে ও বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকরা বেশি পরিমানে সজনের চাষ করছেন।
ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার সিদ্দিক মিয়া জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর সজনের ভালো ফলন হয়েছে। পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি সজনে বাজারে বিক্রি করতে পারবো। বুলাকিপুর ইউনিয়নের বলগাড়ী এলাকার আব্দুল কাদের বলেন, আমার বাড়ির উঠানে ৩টি সজনে আছে। যা আমি গত বছরে ৫ হাজার টাকার সজনে বিক্রি করেছিলাম, এ বছর এর চেয়ে বেশি দামে সজনে বিক্রি করতে পারবে।
উপজেলা স্বাস্থা কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্বার্থ জ্বীময় সরকার বলেন, সজনের ডাটায় ক্যালসিয়াম, খনিজ, লবন, আয়রনসহ প্রোটিনযুক্ত ভিটামিন এ.বি.সি সমৃদ্ধ। যা মানবদেহের খুবই উপকারী। শরীরে পুষ্টির জন্য গর্ভবতী, প্রসুতি মেয়ের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে ঔষুধি গুনাগুণ সম্পন্ন সবজি হিসাবে এর ব্যাপক চাহিদা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান বলেন, সজনে মাতৃগাছ থেকে ডাল সংগ্রহ করে চারা রোপণ করা হয়। সজনে তেমন কোন রোগ-বালাই নেই এবং সজনে চাষে খরচ নেই বললেই চলে। তিনি আরও জানান, এটি একটি লাভজনক ফসল এবং এটির ঔষধি গুনাগুনও আছে। এছাড়াও সজনে পাতা ও ডাটা রোদে শুকিয়ে গুড়া করে ঔষধ হিসেবে খাওয়া যায়।