বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বাধ্যবাধকতা থাকলেও উন্নত দেশ প্রযুক্তি হস্তান্তর করে না

বাধ্যবাধকতা থাকলেও উন্নত দেশ প্রযুক্তি হস্তান্তর করে না

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : খরচ কমিয়ে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আওতায় উন্নত দেশে থেকে অনু্ন্নত দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তরের কথা থাকলেও বাস্তবে সেটা দেখা যায় না বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

রোববার (২২ অক্টোবর) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘বাংলাদেশের শিল্প উৎপাদন প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব কথা বলেন। সিপিডির রিচার্স ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন।ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের অধীনে ৬৬.২ ধারায় উন্নত দেশে থেকে অনু্ন্নত দেশে প্রযুক্তির হস্তান্তর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা তা দেখতে পারছি না। সেখানে অনেক ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আবার উন্নত দেশের প্রযুক্তি এত মূল্যবান অনুন্নত দেশের পক্ষে ওই খরচ বহন করা সম্ভব হয় না। এ কারণে ওই ধরনের প্রযুক্তি আনতে বেসরকারি খাত ও সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এটা করতে পারলে আমাদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারি। সেটার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। সিপিডি বলছে, দেশের বেশিরভাগ ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্ম বা স্পিনিং মিলের ওয়েবসাইটে ডিজিটাল উপস্থিতি নেই। অথচ ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির জন্য আরও ডিজিটাইজেশনের প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত শিল্পগুলোকে ডিজিটাল সরঞ্জামের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। শিল্প উদ্যোক্তাদের উচ্চ প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন শিক্ষিত শ্রমিক ও প্রযুক্তি গ্রহণের শক্ত মানসিকতা রাখতে হবে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ রপ্তানিকারকদের বিক্রয় এখনও ঐতিহ্যবাহী চ্যানেলের মাধ্যমে হয়ে থাকে। মূলত আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের চাপের কারণে বিশেষ করে পোশাক কারখানায় পরিবেশগত বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রেতারা বর্তমানে কার্বন নিঃসরণের বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যদিও বাংলাদেশের উৎপাদন খাত মূলত নিম্ন-প্রযুক্তি পণ্যের ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন