শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

আদমদীঘিতে গৃহবধুর লাশ ফেলে পালালো স্বামীসহ স্বজনরা

 

এএফএম মমতাজুর রহমান
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার আদমীঘিতে মেহের নিগার সোহাগী (২০) নামের এক গৃহবধুকে তার ননদের বিরুদ্ধে নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে হাসপাতালে
নেয়ার পথে ওই গৃহবধু মারা গেলে কৌশলে লাশ শ্বশুরালয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় স্বামীসহ
স্বজনরা। এ ব্যাপারে শুক্রবার দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় আদমদীঘি উপজেলার কালাইকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধু মেহের নিগার সোহাগী এক সন্তানের জননী। ওইদিন সন্ধ্যা ৭ টায় আদমদীঘি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কালাইকুড়ি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে নাদিম প্রামানিকের সাথে আদমদীঘি সদর ইউনিযনের শিবপুর গ্রামের খোকনের মেয়ে মেহের নিগার সোহাগীর প্রায় তিন বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের একটি
সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে সোহগীকে তার স্বামীসহ শ্বশুড় বাড়ির লোকজন মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো।বৃহস্পতিবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরধরে গৃহবধু মেহের নিগার সোহাগীকে তার ননদ হোসনে আরা আবারো মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। ফলে মেহের নিগার সোহাগী অসুস্থ হয়। দুপুরে ওই গৃহবধু বিষপান করেছে বলে তার স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন প্রচার করে তাকে অসুস্থ্য অবস্থায়
প্রথমে আদমদীঘি হাসপাতালে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে
নেয়া পথে মারা যায়। এরপর তার লাশ কৌশলে ফিরে কালাইকুড়ি গ্রামে শ্বশুরালয়ে রেখে স্বামী ও তার
স্বজনরা পালিয়ে যায়। বিকেল ৫টায় জানাজানি হলে গ্রামবাসি এসে মেহের নিগার সোহগীর পিত্রালয় ও পুলিশে খবর দেন।
নিহতের শ্বাশুড়ি নার্গিস বেগম জানায়, ননদ হোসনে আরার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চুলাচুলির ঘটনা ঘটে। স্বামী নাদিম প্রমানিকের শ্বশুড়সহ
পরিবারের লোকজন পালিয়ে থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নিহত মেহের নিগার সোহাগীর মা নাজমা বিবি জানায়, তার মেয়েকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা জানান, নিহতের স্বামীসহ তার পরিবারের কাউকে না পাওয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন