দেশের মানুষ যেন সুখে থাকে আমরা সেটাই চাই : প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার কাছে ক্ষমতা হলো জনগণের সেবা করা। দেশের মানুষ যেন সুখে থাকে আমরা সেটাই চাই।
আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে সেজন্য আওয়ামী লীগ নানা উন্নয়মূলক কাজ করছে। আমরা বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, বিনামূল্য বই দিচ্ছি। দেশের মানুষের বাঁচানোর জন্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করলাম। এ মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য উপহার। তবে মেট্রোরেলটি ব্যবহারের সময় আমাদের যতœবান হতে হবে। যাতে করে এটার ক্ষয়-ক্ষতি না হয়।
তিনি বলেন, এই ঢাকার মানুষের জন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি মেট্রোরেল। যারা উত্তরায় বসবাস করেন তারা মাত্র ৪০ মিনিটেই প্রতিদিন উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে করে মতিঝিল আসা যাওয়া করতে পারবেন। উত্তরা আগারগাঁও পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ২৫ হাজার যাত্রী চলাচল করত। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত এ মেট্রোরেল আমি বর্ধিত করেছি। সেটার কাজও চলছে। একইসঙ্গে আমরা সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মাণ করব। সেটার কাজও আমরা করছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আজকে মেট্রোরেলে চড়ে আমি এ অনুষ্ঠানে এসেছি। মেট্রোরেলটি ঢাকাবাসীর জন্য উপহার। যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই ঘাতকরা তাকে হত্যা করে। আমাদের জয় বাংলা স্লোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় জীবনের একটি কালো অধ্যায়। ১৫ আগস্টের সময় যারা সরকারে ছিল তারা জনগণের জন্য কিছুই করেনি।
তিনি বলেন, আমরা দুই বোন বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলাম। ৬ বছর জিয়াউর রহমান আমাদের দেশে আসতে দেয়নি। রেহানার পাসপোর্টও দেয়নি। আমি আওয়ামী লীগ ও দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যারা আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেছিলেন। আমি এমন একটি সময় দেশে ফিরেছিলাম যখন স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশের ক্ষমতায় ছিল। প্রতিনিয়ত আমার ওপর আঘাত আসে। আমার নেতাকর্মীরা মানবঢাল রচনা করে বারবার আমাকে রক্ষা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কারণে আমি বারবার জীবন ফিরে পেয়েছি। আমিও বাবার মতো এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। যে আদর্শ নিয়ে এই দেশ গড়ে তুলেছিলেন, সেই বাংলাদেশ আমি গড়তে চাই।
তিনি বলেন, সোনার বাংলাদেশ আমি গড়তে চাই। এ ঢাকার মানুষের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি মেট্রোরেল। যানজটে কষ্ট পেতে হবে না, রাস্তায় আটকে থাকতে হবে না। এই ঢাকায় যারা চাকরিজীবী, যারা কর্মজীবী, ছাত্র-শিক্ষক সকলে, বিশেষ করে আমার মেয়েরা, নারীরা, নিরাপদে চলাচল করতে পারবে এ মেট্রোরেলে।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২টা ৪১ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির এ যানে আগারগাঁও থেকে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর ৩টা ৬ মিনিটে রেলের মতিঝিল প্রান্তে পৌঁছান তিনি।