তাপবিদ্যু কেন্দ্রের প্লান্টের কয়লার ময়লা তোলাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ॥
মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যু কেন্দ্রের প্লান্টের কয়লার ময়লা তোলাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় কয়লাখনি প্রধান ফটক এর পাশ্বে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওয়াটার প্লান্টের হাউজের ময়লা পরিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে এলাবাসীর বিক্ষোভ। বিক্ষুব্ধ এলকাবাসী জানান, কয়লাখনি থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিপুল পরিমান পানি নেওয়া হয়। সেই পানি নেওয়ার জন্য তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি হাউজ নির্মান করে সেই হাউজে পানির সঙ্গে কয়লার কিছু গাদ চলে আসে। সেগুলো অপরিষ্কার এবং নোংড়া দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে এই হাউটি পরিষ্কার করার সময় এই কয়লার গাদ গুলো ড্রেনের মাধ্যমে ফেলে দেওয়া হয়ে। কিন্তু এ বছর শোনা যাচ্ছে সেই ময়লা ও নোংড়া গাদগুলো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার সঙ্গে জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা হবে। এই ময়লা গাদগুলো ব্যবহার করায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্লান্টের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আমরা আশংকা করছি।
এ সময় প্রায় শতাধিক এলাকাবাসী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঐ পানির প্লান্টের গেটের সামনে অবস্থা নেয়। এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন চৌহাটি গ্রামের মোঃ নুর আলম, মোঃ নাজমুল ও শামিম । মধ্য দূর্গাপুর গ্রামে মেহেরুল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বক্তব্যে তারা বলেন, তাপবিুদ্যৎ কেন্দ্র জাতীয় সম্পদ এলাকাবাসী হিসাবে এটির ভালোমন্দ দেখাশোনা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। আমরা কোন ভাবেই এই মায়রা নোংরা কয়লার দাগ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্লান্টে ব্যবহার করতে দিব না।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, পানির হাউজের নিচে যে কয়লা গাদগুলি জমা হয় সেগুলো শতভাগ কয়লা। এখানে কোন ময়লা আবর্জনা নেই। এগুলো কয়লার সঙ্গে জ্বালানী হিসাবে ব্যবহারে প্লান্টের কোন ধরনের সমস্যা হবে না। বৈদেশিকভাবে ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়লা ব্যপক সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা কয়লা খনি থেকে পর্যাপ্ত কয়লা পাচ্ছিনা। পানির হাউজ থেকে যতটুকু কয়লা পাওয়া যায় সেগুলো মুল কয়লা সঙ্গে মিশ্রন করে ব্যবহার করে কয়লা ক্ষাটতি অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব। তিনি আরও বলে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জনস্বার্থে ব্যবহার করা হয়। সকলের উচিত এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে সার্বিক সহযোগীতা করা।