শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ভাগ্যিস! শেষ পর্যন্ত থাকতে পেরেছি

ভাগ্যিস! শেষ পর্যন্ত থাকতে পেরেছি

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : আফগানিস্তানের দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অস্ট্রেলিয়া তাদের ৭ম উইকেট হারায় ৯১ রানে। তখন নিঃসঙ্গ ম্যাক্সওয়েল ২২ রানে দাঁড়ানো ক্রিজে। সেখান থেকে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি, অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার হিসেবে সর্বোচ্চ ইনিংস কিংবা দুশো করা ব্যাটারদের মধ্যে বলের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন এগুলো কেবল খতিয়ান। খোঁড়াতে থাকা পায়ে দাঁড়িয়ে ২১টি চার ও ১০টি ছক্কা কেবল স্কোরবোর্ডের সৌন্দর্যবর্ধক উপাদান। এসবের পিছনে লুকিয়ে থাকা ম্যাক্সওয়েলের চরিত্রটিকে তুলনা করা যায় লাইফ ইজ বিউটিফুল সিনেমার রবার্তো বেনিনির চরিত্রটির সঙ্গে। যিনি একাই বদলে দিতে চান পৃথিবী দেখার দৃষ্টিভঙ্গি। ম্যাক্সওয়েলও তাই করলেন এদিন। এভাবেও যে ক্রিকেটকে ভাবা যায়, সাহস দেখানো যায়, জেতা যায় তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দিলেন। ছাপিয়ে গেলেন কপিল দেব, ভিভ রিচার্ডস, তামিম ইকবাল, বেন স্টোকসদেরকে। কী দারুণ এই ইনিংসটি। অথচ এমন মহাকাব্যে পরও কী অমায়িক তিনি। ম্যাচশেষে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভাগ্যকে কৃতিত্ব দিলেন। বললেন, ‘ভাগ্যিস আমি শেষ পর্যন্ত থাকতে পেরেছি। আমাদের ব্যাটিং পরিকল্পনা এমনই ছিল। শেষতক থাকা। শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক ভাব বজায় রাখা। বাজে বলগুলোতে ওদের উপর চড়াও হওয়া। তবে এই এলবিডব্লিউর রিভিউটি আমাকে সাহস জুগিয়েছে। নিজেকেই বলা শুরু করে দিয়েছিলাম, হাত খোলার এখনই সময়।’ আফগানিস্তানের দারুণ খেলার প্রশংসাও করেছেন, ‘ওদেরকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা দারুণভাবে আমাদের ঘিরে ফেলেছিল। চমৎকার বোলিং করেছে।’ ৭ম বা পরের উইকেটে ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ জুটি গড়ার দিনে প্যাট কামিন্সকে কীভাবে ভুলে থাকতে পারেন ম্যাক্সওয়েল। ‘প্যাটের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারা, দলকে জেতানো খুবই গর্বের মুহূর্ত। ’ ভাগ্য বিজয়ীদের পাশে থাকে। ম্যাক্সওয়েল সেটিই প্রমাণ করলেন আবার। ৩ উইকেটের এই জয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত হলো অস্ট্রেলিয়ার।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন