ওজন কমাতে চান? খেতে হবে মেটাবলিজম বাড়ানোর এই ৫ খাবার
মেটাবলিজম আমাদের শরীরের সুপারহিরোর মতো, সবকিছুর ভারসাম্য রাখতে পর্দার আড়ালে অক্লান্ত পরিশ্রম করে। সহজ কথায়, এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমাদের শরীর আমরা যে খাবার খাই তা শক্তিতে রূপান্তরিত করে। এই শক্তিটি তখন শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে শুরু করে ক্যালোরি পোড়ানোর মতো বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।ওজন কমানোর জন্য মেটাবলিজম বাড়ানোর মানে হলো আমাদের শরীরকে আরও দক্ষ ক্যালোরি-বার্নিং মেশিনে পরিণত করার উপায় খুঁজে বের করা। মেটাবলিজম যত দ্রুত, তত বেশি ক্যালোরি বার্ন করা সম্ভব হয়, এমনকি বিশ্রামে সময়েও। সুতরাং, আপনার মেটাবলিজমকে কিছু সুপারহিরো খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক মেটাবলিজম বাড়ানোর ৫টি খাবার সম্পর্কে-
১. কাঁচা মরিচ
মরিচের ঝাল স্বাদ আপনার মেটবলিজম বাড়াতে কাজ করে। কাঁচা মরিচে ক্যাপসাইসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা এর থার্মোজেনিক বৈশিষ্ট্যর জন্য পরিচিত। এটি আপনার শরীরকে উত্তপ্ত করে, যার ফলে তা আরও ক্যালোরি পোড়ায়। সুতরাং খাবার তৈরি করার সময় মেটাবলিজম ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কিছু কাঁচা মরিচও যোগ করুন।
সাধারণ চায়ের পরিবর্তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি আরামদায়ক পানীয়। পাশাপাশি এই চায়ে ক্যাটেচিন রয়েছে যা মেটাবলিজম বাড়িয়ে তুলতে কাজ করে। দিনে কয়েকবার এই চায়ে চুমুক দিন। এটি আপনার মেটাবলিজম ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করবে।
৩. চর্বিহীন মাংস এবং প্রোটিন
প্রোটিন হলো মেটাবলিজম বুস্টারের অন্যতম খাবার। চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন মুরগি, টার্কি এবং মাছ হজম করার জন্য বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়, যার ফলে ক্যালোরি বার্ন বেড়ে যায়। আপনার খাবারে এই চর্বিহীন মাছ ও মাংস যোগ করুন। এটি শুধু আপনাকে স্বাদই দেবে না, মেটাবলিজম বাড়াতেও কাজ করবে। নিরামিষাশীদের জন্য বিকল্প হিসেবে উদ্ভিদ-ভিত্তিক বিভিন্ন উৎস পাওয়া যায়। মসুর ডাল, ছোলা, কুইনো, টফু এবং দইয়ের মতো খাবার খেলেই মিলবে পর্যাপ্ত প্রোটিন।
৪. সাইট্রাস ফল
আপনার মেটাবলিজম ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত লেবু খাওয়া শুরু করুন। লেবু, কমলা এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফল কেবল সতেজই নয়, ভিটামিন সি-তেও ভরপুর। এই ভিটামিন ব্যায়ামের সময় চর্বি বার্ন করতে সাহায্য করে, এটি আপনার ওজন কমানোর যাত্রায় একটি চমৎকার সংযোজন হতে পারে। সাইট্রাস ফল তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন।
৫. ওটস
আপনার ওজন কমানোর প্রচেষ্টার সঙ্গী করে নিন ওটসকেও। উচ্চ দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া থেকে দূরে রাখে। যে কারণে তা স্বাস্থ্যকর মেটবলিজমে সাহায্য করে। এক বাটি ওটমিল দিয়ে আপনার দিনটি শুরু করুন এবং এর সুফল উপভোগ করুন।