রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

রঙিন ফুলে স্বপ্ন দেখছেন বীরগঞ্জের শিম চাষি বুলবুল ইসলাম 

রঙিন ফুলে স্বপ্ন দেখছেন বীরগঞ্জের শিম চাষি বুলবুল ইসলাম 
ফরহাদ হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \\ সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেওয়া সিম বাগানের রঙিন ফুলে ফুলে ভরে গেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। দূর হতে দেখলে মনে হবে ফুলের বাগান এ যেন এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি। হালকা কুয়াশায় শীতের সকালে বিস্তীর্ণ মাঠে শিমের বাগান দেখলে মন জুড়ে যায়।
রবি মৌসুমে শুরুতেই মাচায় ওঠা শিমের সবুজ গাছে এমন মনোরম দৃশ্যে ভরে উঠেছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কাজলগ্রাম।
আর এই শিম বাগানের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেওয়া রঙিন ফুলে স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের কৃষক বুলবুল ইসলাম।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান ৩২হাজার ৮শত ৯ হেক্টর। এবার ১৮০০ শত হেক্টর জমিতে শাক-সবজির চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই বীরগঞ্জ উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম শীতকালীন সবজি শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন শিম চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা।
শিমচাষী বুলবুল ইসলাম জানান, এবছর আমি দেড় বিঘা জমিতে আগাম শিম চাষ করেছি এতে জমি তৈরি,  হালচাষ, রাসায়নিক সার, জৈব সার, কীটনাশক, মাচায়,ও শ্রমিকের খরচ সহ সর্বমোট ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তবে আমার শিম বাগানে ফলন ভালো হয়েছে পুরো বাগান বহুসংখ্যক ফুলে ও ফলে ভরপুর এজন্য আগাম ভালো দামে শিম বিক্রি করেছি। শুরু দিকে প্রতি কেজি শিম সপ্তাহ জুড়ে পাইকারি বাজারে ১২০ – ১৫০ টাকা বিক্রি করেছি কিন্তু বর্তমানে বাজারে পর্যাপ্ত শিম আসায় প্রতি কেজি শিমের দাম ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করছি এখন প্রর্যন্ত আমার শিম বাগান হতে সর্বমোট ২ লাখ টাকা শিম বিক্রি করছি। আশা করি সময়ের সাথে সাথে ৩ লাখ টাকা পার বিক্রি করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, আমার শিম বাগানে প্রতিনিয়ত বেশ কয়েক জন শ্রমিক কাজ করে এবং ২-৩ দিন পর পর ক্ষেত হতে শিম সংগ্রহ করে বাজারজাত করি ও ৪-৫ দিন পর কীটনাশক স্প্রে করতে হয় কারণ মাঝে মধ্যে পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে এবং শিম গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে অধিকাংশ পাতা হলুদ হচ্ছে তারপর বাম্পার ফলন হয়েছে দাম ভালো পাচ্ছি
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: শরিফুল ইসলাম জানান, এ বছর উপজেলা জুড়ে ১৮০০ শত হেক্টর জমিতে সবজির চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে ১০ হেক্টর জমিতে আগাম শিমচাষ করছে চাষীরা। তবে কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় অধিকাংশ কৃষকরা শিম চাষে ঝুঁকছে এবং শিম চাষে রোগবালাই, পোকা আক্রমণে রক্ষায় বিভিন্ন ফাদ ব্যবহার সহ কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদানে মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিস কাজ করছে ।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন