শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

লালমনিরহাটে অটো চালকের হাত-পা কসটেপ দিয়ে পেছিয়ে বেঁধে অটো ছিনতাই

লালমনিরহাটে অটো চালকের হাত-পা কসটেপ দিয়ে পেছিয়ে বেঁধে অটো ছিনতাই
মোঃ লাভলু শেখ লালমনিরহাট থেকে।।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অটো চালককে কসটেপ দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে অটো ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। গত শনিবার ২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের বকশুলা ব্রিজ সংলগ্ন মন্দিরের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে সোয়াদ হোসেন প্রতিদিনের মত ভারায় চালিত অটো রিকশা নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তুষভান্ডার মহিলা কলেজের সামন থেকে অপরিচিত ৪ জন যাত্রী নিয়ে চাপারহাট এলাকায় যাচ্ছিলেন।
পথে ছোট বকমুলা ব্রিজের সামনের এলাকায় আসা মাত্র অটোতে থাকা ৪ জন ছিনতাইকারী রাস্তায় তার হাত-পা মুখে কসটেপ দিয়ে বেধে রাস্তা ফেলে রেখে অটো নিয়ে চলে যায়। হাত-পা মুখে কোন রকম গুন গুন ডাক-চিৎকারে আর এক অপরিচিত অটো চালক রাস্তায় পরে থাকা দেখে গাড়ি থামিয়ে এসে উদ্ধার করেন।
স্থানীয়রা জানান, এ রুটে পুলিশ টহল তেমন না থাকায় এর আগেও অটো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল এবং মৃত্যুর মত ঘটনা হরমামেসেই ঘটে চলেছে। একের পর এক প্রাণহানি ঘটলেও ছিনতাইকারীদের ঠেকাতে পারছে না পুলিশ। ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাতের বেলা চাপারহাটের রাস্তায় টহল পুলিশ দেখা যায় না। কোথাও কোথাও নামমাত্র তল্লাশিচৌকি থাকলেও সেগুলো কাজ করে না। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত এ উপজেলার অনেক সড়কে ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান, এ ব্যাপারে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তিনি আরো বলেন, শীত কালীন সময়ে ছিনতাই বন্ধে টহল পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করতে পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
কালীগঞ্জে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নে একটি আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে এক অটো চালকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ২০ এপ্রিল ২০১৬ কালীগঞ্জ উপজেলার বাবুরহাট শাখাতী গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। কালীগঞ্জ বাজার থেকে দইখাওয়া যাওয়ার সময় বনচৌকি এলাকায় দুর্বৃত্তের কবলে পড়েন এবং চালককে খুনের চেষ্টা-পরে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। উপজেলা মদাতি ইউনিয়নের চামটার হাটে ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামি শামীম হাসান, সুজন মিয়া ও সোহাগ ইসলাম পরস্পর যোগ সাজসে সাহাদাত হোসেনের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে সারাদিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে। পরে রাত ৯টার দিকে চালক সাহাদাতকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে গলা কেটে হত্যা করে। মরদেহ ধানক্ষেত্রে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে যায় তারা।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন