শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

রিজার্ভ বেড়ে ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার

রিজার্ভ বেড়ে ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বিতীয় ধাপের ৬৯ কোটি ( ৬৮৯ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাজেট সহায়তা ঋণের ৪০ কোটি (৪০০ বিলিয়ন) ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। এ‌তে ক‌রে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বে‌ড়ে ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁ‌ছে‌ছে।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। এসময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মুখপাত্র বলেন, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে অনুমোদিত ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও এডিরির ঋণের ৪০ কোটি ডলার এসেছে। গত বৃহস্পতিবার এ অর্থ রিজার্ভের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই দুই সংস্থার ঋণ পাওয়া দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার হ‌য়ে‌ছে। বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী, খরচ করার মতো রিজার্ভ আছে ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার। এর আগে গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন হয়। স্বল্প মেয়াদে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন বিষয় আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে মুদ্রানীতির রাশ টেনে ধরার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এর সঙ্গে সহায়ক নীতি হিসেবে নিরপেক্ষ রাজস্ব নীতি ও মুদ্রার বিনিময় মূল্যের ক্ষেত্রে আরও নমনীয় হওয়ার কথা বলেছে সংস্থাটি। বাইরের আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে এসব পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। এদিকে বাংলাদেশ গত জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় আইএমএফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে যে অব্যাহতি চেয়েছিল, তা অনুমোদন করেছে সংস্থাটির পর্ষদ। একই সঙ্গে ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। তবে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। জুন শেষে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা হয়নি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন