শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

পলাশবাড়ীতে হত্যাসহ ৬ মামলার আসামির মরদেহ উদ্ধার

পলাশবাড়ীতে হত্যাসহ ৬ মামলার আসামির মরদেহ উদ্ধার
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধা সদরের তুলসীঘাটে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রল বোমা হামলায় আটজন নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি আবির আহম্মেদের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আবির পলাশবাড়ী পৌর শহরের শহরের গিরিধারিপুর গ্রামের সাংবাদিক দম্পতি আমিরুল ইসলাম ও লাকী আক্তারের একমাত্র ছেলে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহতের নানা বাড়ি জেলার পলাশবাড়ী পৌর শহরের বৈরীহরিনমারী গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতের খাবার শেষে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন তার ছেলে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকেও আবিরের ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। মোবাইলফোনে কল করেও তার সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জুম্মার নামাজের জন্য আবিরকে ডাকতে গিয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, আবিরের নামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রল বোমা হামলা মামলাসহ ছয়টি নাশকতা মামলা রয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা হরতাল-অবরোধের সময় গাইবান্ধা সদরের তুলশীঘাটের বুড়িরঘর এলাকায় পুলিশ পাহাড়ায় রাত ১০টার দিকে ঢাকাগামী নাপু এন্টারপ্রাইজের একটি নৈশকোচে পেট্রল বোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। পেট্রল বোমার আগুনে ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মারা যান শিশুসহ ছয়জন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দগ্ধ হন শিশুসহ অন্তত ৩৫ জন যাত্রী।ঘটনার পরের দিন বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৬০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ জনকে আসামি করে সদর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। পরে বর্বরোচিত হামলার ওই ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৭৭ নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন