বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

চিরিরবন্দরে টমেটোর বাম্পার ফলন

চিরিরবন্দরে টমেটোর বাম্পার ফলন

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : টমেটো খেতে সুস্বাদু। এটি উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি। এছাড়াও টমেটোর বহুবিধ ব্যবহারের কারণে জনপ্রিয়ও একটি সবজি। টমেটোতে রয়েছে-প্রচুর আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি।

টমেটো মূলত শীতকালীন সবজি। তবে গ্রীষ্মকালেও টমেটো চাষ করা যায়। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষকরা। হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। এবছর আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় কিছুটা বিলম্বে টমেটোর আবাদ হয়। তারপরেও ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা।

গত কয়েক বছর ধরে লেট টমেটো বা নাবী টমেটো চাষ করে লাভবান হচ্ছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষকরা। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে এ জাতের টমেটোর চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে কৃষকরা আশাপোষণ করছেন।

চলতি বছর টমেটোর বাজার মূল্যও ভালো পাচ্ছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০-২৩ টাকা দরে। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয় দিনাজপুরের উৎপাদিত টমেটো।

উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ মে.টন। নাবী টমেটো হিসেবে- বিপুল প্লাস, রাজকুমার, রানী ও প্রোভেনসিভ জাতের টমেটো চাষ হয়েছে।

উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামে মাঠের পর মাঠজুড়ে টমেটোর আবাদ। বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় পাকা-আধাপাকা টমেটো তুলতে ব্যস্ত কৃষক।

টমেটোচাষি হুমায়ুন কবির লিমন জানান-আমি এবছর ৬ একর জমিতে বিপুল প্লাস জাতের টমেটো চাষ করেছি। প্রতিবিঘা জমিতে টমেটো রোপন, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য খরচ মিলে অন্তত ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে উৎপাদিত টমেটো আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা বিক্রি হবে।

আরেক টমেটোচাষি জাকির হোসেন জানান-আমাদের গ্রামে এবছর টমেটোর চাষ বেশি হয়েছে। এখানে বিষমুক্ত টমেটো উৎপাদন হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকেই টমেটো ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। বাজারে প্রতিমণ টমেটো ৬০০-৭০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবিঘা জমি থেকে উৎপাদিত টমেটো বিক্রি করে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা লাভ হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা শারমিন জানান, উপজেলায় টমেটো চাষে দিনদিন কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে এনএটিপি প্রকল্প থেকে নাবী টমেটো উৎপাদন প্রদর্শনী কৃষককে সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাই কম।

মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। এবার ফলনও ভালো হয়েছে। টমেটো একটি পচনশীল ফসল। তবে এটি সংরক্ষণ করা গেলে কৃষকরা আরো বেশি লাভবান হতে পারতেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন