বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

খানসামায় প্রথম বারের মত রঙিন ফুলকপি চাষ, অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ

খানসামায় প্রথম বারের মত রঙিন ফুলকপি চাষ, অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ

এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: প্রথম বারের মত দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ  হয়েছে। উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় ২০ শতক জমিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় সোনালী রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন ঐ এলাকার কৃষক আবুল কালাম আজাদ। এতে অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই কৃষক।

জানা যায়, সাদা ফুলকপির সঙ্গে সকলে পরিচিত হলেও খানসামা উপজেলায় এবারই প্রথম চাষ করা হয়েছে রঙিন ফুলকপির। ভ্যান্টেলিনা জাতের রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন ও পুষ্টিগুণে ভরপুর রঙিন জাতের এই ফুলকপিগুলির দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে বেশি। তবে দেখে মনে হতে পারে সাদা ফুলকপির ওপর রঙ দেয়া হয়েছে। মূলত সোনালী রঙের ফুলকপির চাষ হয়েছে এবার। নতুন জাতের ফুলকপি দেখতে প্রতিদিন মানুষ ঐ কৃষকের ক্ষেতে ভিড় করছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে এই রঙিন ফুলকপি ক্ষেত পরিদর্শন করেন দিনাজপুর অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো: রাকিবুজ্জামান। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুণ কুমার রায় ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পৃথ্বীরাজ রায়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ মৌসুমে উচ্চ মূল্যের নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষি বিভাগের বীজ, সার ও উপকরণ সহায়তায় নতুন জাতের এই রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। যেটি এই উপজেলায় প্রথম বারের মত চাষ হয়েছে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী)  দেখা যায়, খানসামা থেকে চৌরঙ্গী মূল সড়কের সিফনি ভাটা নামক জায়গায় থেকে কৃষক আবুল কালাম আজাদের ক্ষেতে তাকালেই নজরে পড়বে সবুজ পাতায় মোড়ানো ফুলকপি। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখলেই নজরে আসবে সবুজ পাতার মধ্যে সোনালী ফুলকপি। যেটি ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।

রঙিন ফুলকপি চাষী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০ শতক জমি চাষ, বীজ, সার ও পরিচর্যা বাবদ প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হবে। অন্যদিকে এই জমির প্রায় ১৮০০-২০০০ পিস ফুলকপি বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রায় ৩৮-৪০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। যা লাভজনক। সেই সাথে এই রঙিন ফুলকপি চাষে রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার বেশী ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, নতুন এই জাতের রঙিন ফুলকপি পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে। সেই সাথে অল্প পুঁজিতে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে। এইজন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ সার্বিক বিষয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছে।

দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো: রাকিবুজ্জামান বলেন, পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এই জাত সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এতে কৃষকরা যেমন লাভবান হবে তেমনি বাজারে পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি পাবে ভোক্তারা।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন