বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

রাজারহাটে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে চায় শিউলী রানী

রাজারহাটে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে চায় শিউলী রানী
ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে দ্বিবার অনশন করেন শিউলী রানী। গত রোববার ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বিজয় কৃঞ্চের বাবার বাড়ীতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে অবস্থান অনশণ করেন শিউলী রানী। এরপরে অনশনে থাকা শিউলী রানীকে কৌশলে ভারা বাসা থেকে বিতাড়িত করায় বিজয় কৃঞ্চের বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন শিউলী রানী। জানাগেছে,পড়াশোনায় বিজয় কৃঞ্চ স্কলারশীপ লাভ করায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের অনটেস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে গত ২০২৩ইং বছরের জুলাই মাসে দেশত্যাগ করেন।
স্ত্রীর দাবিতে আসা শিউলী রানী ঢাকা চকবাজারের বাসিন্দা শ্রী দুলাল চন্দ্র শীলের কন্যা। বিজয় কৃঞ্চ উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের জোলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক শচীন্দ্র নাথ রায়ের সন্তান। গত রোববার ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বিজয় কৃঞ্চের বাবার এনামুল হক চেয়ারম্যানের বাসা ভারা বাসায় স্বামীর দাবিতে অবস্থান নেন।
সেই রাতেই বিজয় কৃঞ্চের বাবা শচীন্দ্রনাথ রায়ের পরিকল্পনায় কতিপয় লোকজনের সহযোগিতায় শিউলী রানীকে জোরপূর্বক মারধর করে সিএনজিতে তুলে তিস্তা নদীর উত্তর তীরবর্তীস্থান বুড়িরহাট ক্রস বাধেঁর উদ্দেশ্য নেয়ার পথিমধ্যে আদর্শবাজার নামকস্থানে আত্মা চিৎকার জনতার হাতে আটক হয়। এরপর সিএনজি এবং সনাতনী ধর্মীয় নেতা রবীন্দ্রনাথ কর্মকারের কাছে মেয়েটিকে হস্তান্তর করেন উৎসুক জনতা।
এবিষয়ে রবীন্দ্রনাথ কর্মকারের বাড়ীতে শিউলী রানীর অবস্থানের সত্যতা নিশ্চিত করেন। ভারা বাসায় অবস্থানকালে গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে ভিডিওতে শিউলী রানী বলেন,
আমি আমার শ্বশুরের বাড়ীতে আসছি,আমার শ্বশুর আমাকে মেনে উনার বাড়ীতে ২০/২২দিন বাড়ীতে রাখেন,আমি এখানে নতুন আসিনি। বিয়ের পড়ে আমরা দুজন একসঙ্গে ছিলাম, ইতিপূর্বে এই এলাকার লোকজন আমাকে মারধর করে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে। আমি আসার আগেও শ্বশুরকে ফোন করেছিলাম, তিনি আমার ফোন রিসিভড করেননি। প্রায় তিনবছর পূর্বে আমাদের বিয়ে হয়েছে ধর্মীয় রীতিনীত মেনে।আমার স্বামী দেশের বাহিরে যাওয়ার আগে আমি এসেছিলাম,তখন কোনরকম আপোষ মিমাংসা ছাড়াই ঘরের লাইট অফ করে মারধর করে  জোর জবরদস্তি করে বাহির করে দেয়,হিন্দুদের একবারই বিয়ে হয়,আমাকে মেনে না নিলে আমি আত্মহত্যা করবো এমন মন্তব্য করেন শিউলী রানী। শিউলী রানীর এ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বিজয় কৃঞ্চের বাবা শচীন্দ্র নাথের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিক মানুষ সব জানেন, যেভাবে তারা আসছে, সেভাবেই তারা চলে গেছে,এর বেশি কিছু বলতে পারবোনা।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন