মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

এক সপ্তাহে জন্ডিসে আক্রান্ত রাবির ৬৮ শিক্ষার্থী

এক সপ্তাহে জন্ডিসে আক্রান্ত রাবির ৬৮ শিক্ষার্থী

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : গত এক সপ্তাহে হেপাটাইটিস ‘এ’ অর্থাৎ জন্ডিস এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮ জন শিক্ষার্থী। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাবির মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরিক্ষার পর আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল, একাডেমিক ভবনসহ পুরো ক্যাম্পাসে সাবমার্সিবল পাম্পের সংখ্যা খুবই কম। এদিকে টিউবওয়েল ও মোটরের পানিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এ রোগের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান রাবির মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকেরা। এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল এবং একাডেমিক ভবনগুলোতে যেন বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্থা করা হয়। রাবির মেডিকেল সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪৬ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা করালে হেপাটাইটিস ‘এ’ অর্থাৎ জন্ডিস ধরা পড়ে ৬০ জন শিক্ষার্থীর শরীরে।  তাদের মধ্যে ১৫ তারিখ ১১ জন পরীক্ষা করালে জন্ডিস আক্রান্ত হন সাতজন, ১৬ তারিখে ১৩ জনের মধ্যে পাঁচজন, ১৭ তারিখ আটজনের মধ্যে ছয়জন, ১৮ তারিখ ২১ জনের মধ্যে ১২ জন, ২১ তারিখ ১৬ জনের মধ্যে ১০ জন, ২২ তারিখ ১৭ জনের মধ্যে আটজন, ২৩ তারিখ ১৫ জনের মধ্যে পাঁচজন, ২৪ তারিখ ১৮ জনের মধ্যে আটজন এবং ২৫ তারিখ ২৭ জনের মধ্যে সাতজন শিক্ষার্থীই জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন।  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসক ডা. তবিবুর রহমান শেখ বলেন, শীতকালে ঠান্ডার কারণে মানুষ চলাচল কম করে যার ফলে রক্ত চলাচলও কম হয়। হেপাটাইটিস ‘এ’ ভাইরাসের কারণেই জন্ডিস হচ্ছে। এটি মূলত একটি পানিবাহিত রোগ। এ রোগ থেকে নিরাময় পেতে হলে সবার আগে প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের সচেতনতা। যেসব শিক্ষার্থী হলে থাকে তারা সাবমারসিবলের পানি খেতে হবে। ক্যাম্পাসে হোটেল ও ক্যান্টিন মালিকদের উচিত বিশুদ্ধ টিউবওয়েল বা সাবমার্সিবল পাম্পে তোলা পানি দিয়ে রান্নার কাজ করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা। লক্ষণ খারাপ মনে হলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে এসে ট্রিটমেন্ট নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, যেদিন থেকে জন্ডিস আক্রান্ত রোগী ধরা পড়েছে তারপর থেকেই আমরা মেডিকেল সেন্টারে বলে দিয়েছি এটা যেন সচেতনভাবে দেখা হয়। এছাড়া আমরা গণমাধ্যমের সাহায্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জানাতে চেষ্টা করেছি তারা যেন যেকোনো জায়গার পানি পান না করে। টিউবয়েল বা সাবমার্সিবল পাম্পে তোলা বিশুদ্ধ পানি পান করেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন